জ্যৈষ্ঠতা তালিকা অনুযায়ী অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে ২০১৩ সালের গেজেট বিধিমালার আলোকে গ্রেডেশান হালনাগাদ প্রনয়ন করার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার অধিগ্রহনকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয়োজনে রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধিগ্রহনকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, পাড় শহিদুল ইসলাম, বিশাল কান্তি দাস, আব্দুল গফুর, আয়ুব আলী, হাফিজুর রহমান, শেখ হাবিবুর রহমান, অর্জুন কুমার মন্ডল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অধিগ্রহনকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব আবুল কালাম আজাদ ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই ২৭২ নং স্মারকে একটি বিধিমালা তৈরী করেন। যা ১/১/২০১৩ ডি১/৩১ গেজেট আকারে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। এতে শর্ত থাকে অধিগ্রহনকৃত পূর্বের ৫০% কার্যকাল চাকুরী গননা করা হবে।
জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে গ্রেডেশান হালনাগাদ তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক যুগ্নসচিব খান নুরুল আমিন বরাবর জমা দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু অতিব দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় অধিগ্রহনকৃত শিক্ষকদের নামের তালিকা বাদ দিয়া পুরাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে একক স্বার্থ উদ্ধারের প্রভাব খাটিয়ে অতিগোপনে পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত ৬১ জন প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বৈধতা পেতে পূর্বের ন্যায় অধিগ্রহসকৃত শিক্ষকদের বঞ্চিত করে গ্রেডেশান তালিকা প্রস্তুত করা হয়। আমরা এই মানববন্ধন থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বক্তারা এ সময় অধিগ্রহনকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির লক্ষ্যে ২০১৩ সালের গেজেট বিধিমালার আলোকে গ্রেডেশান হালনাগাদ প্রনয়ন করার জোর দাবী জানান।
Leave a Reply