আট দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। আরবার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সাতটির স্থলে আটটি দাবির কথা জানান।
শিক্ষার্থীদের আট দফা দবিগুলো হলো, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র্যাগ এর নামে এবং ভিন্নমত ধমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পরও ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে তার জবাব দিতে হবে, মামলার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে, এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে, ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে বুয়েটের সব সাংগঠনকি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় তারা।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আবরার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। বাবা বরকত উল্লাহ এনজিও কর্মী। আর মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজে পড়ে।
Leave a Reply