দেখে বোঝার উপায় নেই কাঁচা রাস্তা না পিচ ঢালাই রাস্তা। রাস্তার উপরে কাঁদামাটি জমে গেছে। পিচ ঢালা রাস্তায় পা দিলেই কাঁদা ঠেলে উঠছে। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির তত্বাবধানে নির্মিত পাকা রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের অন্তর্গত তালা উপজেলার ধলবাড়িয়া মোড় থেকে কলাপোতা গ্রামের কারিকর পাড়া পর্যন্ত রাস্তার এই বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দে তালা উপজেলার ধলবাড়িয়া মোড় থেকে কলাপোতা গ্রামের কারিকর পাড়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফ.কে ট্রেডিংকে কার্যাদেশ দেয়। নির্মাণ কাজের শুরুতেই এলাকাবাসী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করতে থাকে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা নির্মাণ কাজ তদারকীর দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী সেসব অভিযোগে কর্ণপাত করেননি।
এমনকি ঠিকাদার সোহেল হোসেন প্রতিবাদকারীদের মধ্যে কয়েক জনের বাড়িতে পাশ্ববর্তী জাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির এক দারোগাকে পাঠিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলো। গত জুন মাসে ঠিকাদার নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজের চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করেন।
নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে একাধিক জায়গায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে কাঁদামাটিতে পরিণত হয়। কোন কোন জায়গায় রাস্তা ভেঙ্গে অর্ধেক হয়ে গেছে। ইট খোয়ার সংমিশ্রণের পরিবর্তে মাটির উপর পাতলা প্রলেপ দিয়ে পিচ ঢালাই দেয়ার কারণে রাস্তার এমনই পরিস্থিতি বলে দাবি এলাকাবাসীর। প্রক্কলিত ব্যয়ের সিংহভাগ লুটপাট করে নাম মাত্র কাজ করার কারণেই রাস্তার এই বেহাল দশা। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত এই নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাসহ রাস্তাটি পূনঃসংস্কার করা হোক।
সাতক্ষীরা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে অভিযোগ করায় সংশ্লিষ্ট রাস্তার নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এবং ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা ঠিকাদারের জামানাতের টাকায় সংস্কার করা হবে।
Leave a Reply