ভারতের বিপক্ষে হারই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের। খুব কাছে গিয়েও বারবার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল জয়গুলো। যুবাদের বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচও এমন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। বৃষ্টি আইনে ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৫ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে তারা। মূলত আবু হায়দার রনির শেষ ওভারের জাদুতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুবরা।
লখনৌতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ দিন টস ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। তাই টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন মেহেদী হাসান ও সাইফ হাসান। এই দুই ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে ৫২ রান যোগ করেন। এরপর মেহেদী আউট হয়ে গেলে ফারদিন হাসানকে নিয়ে আরও একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক সাইফ। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৭৫ রান। কিন্তু বেশ ধীর গতিতে ব্যাটিং করায় বড় সংগ্রহের পথটা কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য।
তবে ইনিংসের ৩৪.৩ ওভারে নামে বৃষ্টি। লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়। ৩৬ ওভারে নির্ধারণ করা হয় ম্যাচ। ৯ বল খেলতে ফের ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে সাইফের উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান যোগ করতে পারে তারা। ফলে ২ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে শেষ হয় যুবাদের ইনিংস। তবে বাংলাদেশ উইকেট কম হারানোয় বৃষ্টি আইনে ভারতীয় যুবাদের লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ২১৮ রানের।
এ লক্ষ্য তাড়া করেতে নেমে ভারতের শুরুটাও হয় দারুণ। দুই ওপেনার ইয়াশাসভি জইশওয়াল ও মাধব কৌশিকের ব্যাটে আসে ৭৭ রান। ইয়াশাসভিকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। এরপর দ্রুত মাধবকেও রানআউট করেন মেহেদী। ফলে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে যুভ টাইগাররা। তবে তৃতীয় উইকেটে এসে শরথ ও প্রিয়াগ গার্গ ৮২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন। এক পর্যায়ে ৫১ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান।
কিন্তু সেসময় দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় যুবারা। দারুণ বোলিং করেন সুমন খান। সেট দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান তিনি। শরথ-গার্গের জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেন বোলাররা। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৩৬ ওভারে ২১২ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
Leave a Reply