তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘যারা নিজেদের নেতাদের সম্মান করতে পারে না। নিজেদের ঘর সামলাতে পারে না, তারা দেশ সামলাবেন কীভাবে? আগে নিজেদের ঘর সামলান।’
রবিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রগতিশীল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (প্রগতিশীল ন্যাপ) আয়োজিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সংবাদ সম্মেলন পুরোটাই শুনলাম। আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপিকে বলবো, সারাদিন আওয়ামী লীগের পেছনে পড়ে না থেকে আগে নিজেদের ঘর সামলান। আপনারা তো নিজেদের ঘর সামলাতে পারেন না। তাহলে দেশ সামলাবেন কীভাবে?’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এত বড় পদ্মা সেতু হয়ে গেলো। প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সব দেশের মানুষ উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত; কিন্তু বিএনপির মুখে একটি কথাও নেই। অবশ্য এর পেছনে কারণ আছে। “এই পদ্মা সেতু হবে না, আওয়ামী লীগ করতে পারবে না”—এটা তারা জোর গলায় বলেছিল। এখন যখন পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। তারা লজ্জায় চুপসে গেছে।’
মওলানা ভাসানী সর্ম্পকে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উনাকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন। মওলানা ভাসানী এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। রাজনীতি একটি ব্রত, তবে এখনকার রাজনীতিবিদরা বিষয়টি ভুলে গেছেন। রাজনীতি মানব সেবার, দেশ গঠন করার জন্য; কিন্তু এখন যারা রাজনীতি করছেন, তারা এটিকে নিজেদের উন্নতি লাভের সোপান হিসেবে ব্যবহার করছেন। এটি রাজনৈতিক অবক্ষয় ছাড়া অন্য কিছু নয়। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, ভাসানীর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আজকে তার ১৪০ তম জন্মদিন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য ভাসানীর সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন, তারা পরে সেই রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন। বিএনপির বড় বড় নেতারা যারা আজ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। তাদের অনেকেই মওলানা ভাসানীর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। পরে যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে রাজনীতিবিদদের বেচাকেনার হাট বসালেন। তখন তারা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির সেই হাটে বিক্রি হয়ে গেলেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কালকে একটা জিনিস দেখলাম, দেশের বিশিষ্ট ৩২ ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তারা কিন্তু বিএনপি ঘরোনার বিবৃতি দিয়েছেন। তারা সব সময় সরকারের বিরুদ্ধে বলে আসছে। আবার কেউ কেউ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদেও রয়েছেন। এখন ব্যতিক্রমটা হচ্ছে কালকে সবাই একসঙ্গে বসে বলেছেন। অবশ্য বিবৃতিটি বিএনপি অফিস থেকে ড্রাফ হয়ে এসেছে।’
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন প্রগতিশীল ন্যাপের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরশ ভাসানী।
Leave a Reply