শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

আজও স্বীকৃতি পাননি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া সাতক্ষীরার বিমান ঢালী

আসাদুজ্জামান
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ৩১৪
আজও স্বীকৃতি পাননি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া সাতক্ষীরার বিমান ঢালী

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলেন, করেছিলেন সার্বিক সহযোগিতা এমন মানুষদের মধ্যে সাতক্ষীরার আশাশুনির সুপরিচিত একটি নাম বিমান বিহারী ঢালী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। তাই তার বৃদ্ধা মায়ের আকুতি মৃত সন্তানের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি টুকু যেন তিনি দেখে যেতে পারেন।

বিমান ঢালী আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের মৃত জীতেন্দ্র নাথ ঢালী ওরফে হাজরা ঢালীর ছেলে।

ধনী পিতার সন্তান বিমান ঢালীর বামনডাঙ্গা গ্রামে দ্বিতলা পাকা বিল্ডিংএ স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ আশ্রয়গ্রহণ করেন। জীবনের চরম ঝুকি নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি তার বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।

যুদ্ধকালীন দীর্ঘ সময় ধরে তাদের বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি তার বিশাল বাড়ি ছেড়ে হেতাইলবুনিয়া (কাজলনগর) ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ০৯ নং সেক্টরে বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধে সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।

ক্যাম্পের প্রশিক্ষক (গেজেট নং ৪১০, লালমুক্তিবার্তা নং ০৪০৪০৫০১৫৭) জি এম আঃ গনির কাছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও রণাঙ্গণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন মর্মে প্রত্যয়নপত্রও পান। স্বীকৃতি স্বরূপ ০৯ নং সেক্টরের আঞ্চলিক অধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানীর সনদপত্রও প্রদান করা হয়েছিল। যার ক্রমিক নং ১৬৯২৪৬। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হননি। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেন, কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের আগেই ২০১৬ সালে ২২ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বর্তমানে তার ছেলে নিত্যানন্দ ঢালী তার পিতার স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা বিমান ঢালীর মাতা সুশীলা রাণী ঢালী বৃদ্ধা বয়সে চোখের জল ফেলে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ৭১ সালে রাজাকার, পিচ কমিটি, আল বদর ও পাকিস্তানী হায়েনাদের নির্যাতন ও গুলির মুখে অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভারতে চলে গেলেও ছেলে বিমান ঢালী দেশ স্বাধীনের জন্য আমাদের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

কেয়ারগাতি ও গোয়ালডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিফৌজদের সার্বিক সহায়তা, গোলাবারুদ ও খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে। দেশ স্বাধীনের পর দেশে ফিরে দেখি আমার পুত্র বিমান বিজয়ী বেশে বাড়িতে ফিরেছে। কিন্তু সে সময় তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়নি। পরবর্তীতে সে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করে, কিন্তু তার জীবদ্দশায় সে স্বীকৃতি দেখে যেতে পারেনি।

আর তাই বিমান ঢালীর গর্বিত বৃদ্ধা মাতা সুশীলা রানী জীবনের শেষ সময়ে এসে তার বীর সেনা ছেলেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করে যোগ্য স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য সরকারে কাছে আহবান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT