অবশেষে স্বাক্ষরিত হলো বহুল আলোচিত তালিবান-মার্কিন শান্তি চুক্তি। দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত চলা আফগান যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে কাতারের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। যদিও ঐতিহাসিক এই ঘটনাটিকে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মসমর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর বলে দাবি করেছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্বের চূড়ান্ত অবসান ঘটেছে। কাতারে আফগান তালিবানের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রবিবার (১ মার্চ) জারিফ এক টুইটার বার্তায় মন্তব্যটি করেন।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রশাসনের আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোই ঠিক হয়নি। কিন্তু তারা তা করেছে এবং আক্রমণগুলোর ফলে সৃষ্ট দুর্দশার দায় অন্যদের ওপরও চাপিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিনের দুর্দশা ও যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়ে ওয়াশিংটন আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছে।
জারিফের ভাষায়, প্রকৃতপক্ষে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া কিংবা ইয়েমেন হোক সবখানেই একমাত্র সমস্যা এই আমেরিকা। শেষ পর্যন্ত মার্কিনীরা অঞ্চলটি ত্যাগ করবে ঠিকই কিন্তু পেছনে ফেলে যাবে বিশাল এক ধ্বংসযজ্ঞ।
এর আগে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও তালিবানের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ পরিচালনার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পর সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালিবান নেতারা ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করেন। বেশ কয়েক দফায় বৈঠক শেষে এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করে সশস্ত্র সংগঠন তালিবান।
Leave a Reply