আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি বলেন, তদন্ত শেষে যাদের নাম বেরিয়ে আসবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি যে দলেরই হউক না কেন, কাঊকে ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তিনি নোয়াখালীতে নব নির্মিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যাকান্ডের তদন্তের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অবশ্যই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অভিযোগপত্র পাওয়ার পর কোন আদালতে বিচার হবে তা তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা খানম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব ও ভবন নির্মাণের প্রকল্প সমন্বয়ক বিকাশ সরকার কুমার সাহা, গণপূর্ত বিভাগের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলে উদ্দিন আহমেদসহ বারের সকল আইনজীবি, রাজনৈক ব্যক্তিবর্গ ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধন বিচার বিভাগের জন্য একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে। এ ভবন উদ্বোধনের ফলে এখন এজলাসের অভাবে বিচারের প্রহর গুনতে হবে না।
তিনি বলেন, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত ১০ বছরে ১ হাজার ২৮ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উন্নয়ন হচ্ছে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত ২৬টি জেলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত সমস্যা কমে আসছে। তিনি আরো বলেন, আগে বিচারকদের বিদেশে কোন প্রশিক্ষণের গ্রহনের সুযোগ ছিল না। এ সরকার বিচারকদের বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
মামলা জটের বিষয়টি দীর্ঘদিনের। এটি ১ দিনে হয় নাই। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে মামলার জট কমবে এবং জনগন ন্যায় বিচার পাবে বলে আইনমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলে ন্যায় বিচার পাননি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগের প্রতি সংবেদনশীল এবং শ্রদ্ধাশীল। বার ও বেঞ্চের সম্পর্ক ভালো থাকলে জনগণ ন্যায় বিচার পেতে সহায়ক হবে। জনগণ যেন দ্রুত ন্যায় বিচার পেতে পারে সেই জন্য সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
Leave a Reply