সাতক্ষীরায় পানিবন্দী জলাবদ্ধ এলাকার কষ্ট ও দূদর্শা লাঘবের জন্য জলাবদ্ধতা নিরসনে মটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে নিষ্কাষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ছাকলা গেট এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে পানি নিষ্কাষণের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণলয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। প্রতিবছর আমাদের সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তির শিকার হয়। এই জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে স্থায়ী মুক্তির লক্ষ্যে সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলি ভালভাবে খনন করতে হবে। খননের মাটি অন্য এলাকায় নিতে হবে। সাতক্ষীরায় যত্রতত্র অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের, অপরিকল্পিত বাড়ি নির্মাণ ও ড্রেণেজ ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এসময় প্রশ্ন রেখে সংসদ সদস্য বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কারণে এতগুলি মানুষ পানিবন্দী হয়ে কেন কষ্ট পাবে ? আমি একটি সুন্দর সাতক্ষীরার স্বপ্ন দেখি। সাতক্ষীরার মানুষদের শান্তিতে রাখার জন্য আমার লড়াই চালিয়ে যাব। সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন এবং ধুলিহর ইউনিয়নের ২০/২৫টি গ্রামের পানিবন্দী মানুষদের পানিবন্দী জীবন থেকে মুক্তি দিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের নির্দেশে ২/৩টি স্পটে ১২টি মটরের মাধ্যমে পানি নিষ্কাষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শ্রীঘ্রই অসহায় পানিবন্দী মানুষ পানিবন্দী জীবন থেকে মুক্তি পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আরা, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, পৌরসভার ০৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply