সাতক্ষীরার আশাশুনির কাপসান্ডায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাপসান্ডা গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান মোড়ল সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থক কাপসান্ডা গ্রামের সাত্তার গাজী, চেউটিয়া গ্রামের মিলন, সাবেক ইউপি সদস্য কবির ও সামাদ এবং কাপসান্ডা গ্রামের রমজান মোড়ল ও তার সমর্থক রকিব ও সাকিল।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকালে কাপসান্ডা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থক সাত্তার গাজী ও রমজান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে আশাশুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহত রমজান মোড়ল জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার আগে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণকৃত ভিজিএফ’র চাউল কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে আত্মসাৎ করার সময় পুলিশ চেয়ারম্যান সমর্থক আরিফ গাজী নামের এক যুবককে ৫ বস্তা চাউলসহ আটক করে। এ ঘটনায় তারা আমাকে সন্দেহ করে আমি পুলিশ দিয়ে তাকে ধরিয়ে দিয়েছি। এরই জেরে সকালে আমি কাপসান্ডা বাজার থেকে বাড়িতে আসার সময় পথিমধ্যে নাশকতা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী সাত্তার গাজী, কবির, মিলন ও সামাদসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার তিনজন সমর্থক আহত হওয়ার খবর শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে মারপিট করে। এতে তাদের কয়েকজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী রমজানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী সকালে সাত্তার গাজীর বাড়িতে যেয়ে আকস্মিক হামালা চালায়। এতে সাত্তার গাজীসহ ৪ জন গুরুতর আহত হন। তিনি আরো জানান, আহতদের মধ্যে সামাদের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল সালাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে, বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
Leave a Reply