আ. লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ চাওয়া হয়েছে রিটে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০৮
হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম নয়, তাদের মাধ্যমে সুবিধাভোগী আরও ১০টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে এসব দলের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ তুলেছেন রিটকারীরা। আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক দুটি রিট দায়ের করা হয়। মামলার নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রথম রিটে নিষিদ্ধ চাওয়া দলগুলো হলো– বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (আনোয়ার হোসেন মঞ্জু), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), সাম্যবাদী দল, মার্কবাদী-লেনিনবাদী (দিলীপ বড়ুয়া) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

 

দলগুলোর বিরুদ্ধে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসসহ বেশ কিছু অভিযোগ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে তারা যেন পরবর্তী রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে রিটে রুল এবং নির্দেশনা জারির আবেদন জানানো হয়েছে।

দ্বিতীয় রিট আবেদনে বিগত তিনটি নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই নির্বাচনগুলোতে যারা সংসদ সদস্য হয়ে বেতন-ভাতাসহ যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, মো. আবুল হাসনাত ও হাসিবুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক রিট দুটি দায়ের করেন। রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, রিটে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়েছি।

জানা গেছে, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব রিটের শুনানি হতে পারে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে। ওই আল্টিমেটামের পরই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে সরকার।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন আগস্টে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের পর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT