আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে নারী সমাবেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩৬
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে নারী সমাবেশ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করেছেন ‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহীদ পরিবারের নারী সদস্যরা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে এ সমাবেশ করা হয়। তবে দুপুর ২টা থেকেই জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহীদ পরিবারের নারী সদস্যরা শাহবাগে উপস্থিত হন।

আয়োজকরা বলেন, জুলাই আন্দোলনে নারীরা অগ্রদূত হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। হলের তালা ভেঙে রাজপথে নেমেছে। আমাদের ভাইদের যখন ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, নারীরাই প্রিজন ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়েছে। এই আন্দোলনসহ অতীতের সব আন্দোলনে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। তারপরও নারীরা অবহেলার শিকার, লাঞ্চনার শিকার। মনে রাখতে হবে, এসব নারীর মধ্য থেকে রাজনীতিতে আসবে, দেশের ইতিহাস গড়বে। তাই যেকোনও আন্দোলনে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবসসুম বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমরা নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখেছি। কিন্তু জুলাই পরবর্তী সময়ে বার বার আমাকে শুনতে হয়েছে জুলাইয়ের নারীরা কোথায় হারিয়ে গেলো। এখনও সমাজে নারীদের ছবি, শরীর নিয়ে বুলিং করা হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কঠিন করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যে গুম, খুন, ‘আয়নাঘরের’ রাজনীতি কায়েম করেছিল তাতে বাংলাদেশের মানুষ নারী নেতৃত্বে বিশ্বাস করতে সময় নেবে। শেখ হাসিনার এই পাপের ফল আমাদের সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। এজন্য পুনরায় যদি নারীদেরকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হয়, সবার আগে প্রয়োজন শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা।

জুলাই আন্দোলনকারী অর্পিতা শ্যামা দাস বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই জুলাইয়ের নারীদের পদচারণা শুরু হয়েছে এবং ২০২৪ সালে এসে আমরা সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে নারীরা লাঠি হাতে স্বৈরাচারী বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তাদের এই অবদান একটি প্রতীকী ছবি হয়ে উঠেছে যে, নারীরা শুধু আন্দোলন করতেই জানে না, নারীরা নেতৃত্বও দিতে পারে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ৫৩ বছরের একটি লড়ি সংগ্রামের ইতিহাস আছে। এই সংগ্রামের প্রতিটি পরতে পরতে নারীদের অবদান রয়েছে। জুলাই আন্দোলনেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সুতরাং, জুলাই পরবর্তী যে রাজনৈতিক দল আসবে. সেখানে আমরা নারীদের নেতৃত্ব স্থানীয় জায়গায় দেখতে চাই। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা দেখেছি, মায়েরা খাবার রান্না করে খাইয়েছেন, আঁচল দিয়ে আহতদের কপাল বেঁধে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশে যারা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদেরকে যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এদেশের কোনও মানুষেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

এছাড়া নারী সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) আহ্বায়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীসহ জানাকের একাধিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT