নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা-ভাগ্য তখনো ঝুলে আছে। দশরথ স্টেডিয়ামে ঘড়ির কাটায় ম্যাচের ৮১ মিনিট, ১-১ সমতায় বাংলাদেশ-নেপাল। ঠিক সে সময় বক্সের বাম প্রান্তে বল পেয়ে ক্রস গোছের একটি শট করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। নেপালি গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল ঠাঁই পায় জালে। সেটাই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়সূচক গোল হয়ে থাকে। তার গোলেই টানা দ্বিতীয়বার সাফ জয় করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
সে গোলের পর সাফের টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছে ঋতুপর্ণা। দেশের ফুটবল অঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে। এর মধ্যেই অন্তত দুটি বিদেশি ক্লাব থেকে প্রস্তাবও পেয়েছেন এই জাদুকরী ফুটবলার।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ঋতুপর্ণা দুই বিদেশি ক্লাবে খেলার প্রস্তাবের কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি কিন্তু এই সাফ চলাবস্থায় ভারতের একটি ক্লাব ও ইউরোপের একটি ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছি।’
বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের বিদেশি ক্লাবে খেলার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ভারতের ক্লাবে খেলেছেন সাবিনা-সানজিদারা। তবে ইউরোপের ক্লাব থেকে প্রস্তাব আসা বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য চমকপ্রদ ঘটনা।
তবে সনকিছু চূড়ান্ত হওয়ার আগে ক্লাবের নাম জানাতে চান না ঋতুপর্ণা, ‘এটা এখনই বলা বারণ আছে। সব কিছু ঠিক হলে আনুষ্ঠানিকভাবেই জানাব। তবে ভারতের যে ক্লাবে গত বছর সাবিনা আপু খেলেছেন, সেখান থেকেও প্রস্তাব এসেছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতীয় ক্লাব কিকস্টার্ট এফসির হয়ে খেলেছেন সাবিনা। এর আগে ২০১৮ সালে প্রথমবার ভারতীয় ক্লাব সেথু এফসির হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
Leave a Reply