মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে নিজেদের একমাত্র হুমকি হিসেবে মনে করছে ইসরায়েল। তেহরানকে এখনই দমাতে চায় তারা। এ কারণে নতুন আরও এক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত।
ইসরায়েল মনে করছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে ইরান। এখনই তাদের দমাতে না পারলে ভবিষ্যতে এর চড়া মূল্য দিতে হবে তেল আবিবকে। ফলে সম্ভাব্য সব শক্তি নিয়ে ইরানে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েল তাদের সব শক্তি ইরানের বিরুদ্ধে নিযুক্ত করতে যাচ্ছে। হামাস ও হিজবুল্লাহকে দমানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কাজ করে আসছে ইসরায়েল। কিন্তু এখন আর সেগুলো না করে হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে নিয়োজিত থাকা সব শক্তিও ইরানের বিরুদ্ধে নিয়োগ করবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নাফতালি বেনেত এই ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত বলেন, আমরা হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সব ধরনের যুদ্ধ থেকে সরে আসছি। এটা এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। আমাদের সব শক্তি যেন ইরানের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারি সেজন্যই হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে সরে আসা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আমরা সব শক্তি নিয়ে ইরানের ওপর হামলা চালাব। হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরিবর্তে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক যুদ্ধ চালিয়ে যাব আমরা। যে করেই হোক ইরানকে দুর্বল করা হবে। কারণ, সাপের মাথা সেটিই।
নাফতালি বেনেত বলেন, সিরিয়া থেকে ইরানকে তাড়িয়ে দিচ্ছি আমরা। এতে ইরান কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়বে। এভাবে লেবানন থেকেও আমরা তাদের তাড়িয়ে দিতে পারব।
Leave a Reply