গত চার বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৬১০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ‘দ্য ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ’ নামের এ দক্ষিণ কোরীয় এনজিও।
‘ম্যাপিং দ্য ফেট অব দ্য ডেড’ শিরোনামে মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বেসরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় তা দেখার জন্য ১ হাজার বা তারচেয়ে বেশি মানুষকে জড়ো করা হয়। যাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তার পরিবারের শিশুসহ অন্যান্য সদস্যকেও কখনো কখনো তা দেখতে বাধ্য করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর বেশিরভাগ সময়ই ওইসব মৃতদেহ কিংবা তাদের সমাধিস্থলের ঠিকানা স্বজনদের দেওয়া হয় না। এ পর্যন্ত প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেখা সবচেয়ে কনিষ্ঠজনের বয়স সাত বছর।
আটককেন্দ্র, কারাগার কিংবা শ্রম শিবিরেও কিছু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এসব স্থানে রাজনৈতিক অপরাধে মানুষজনকে বন্দি রাখা হয় এবং তাদেরকে খনি ও গাছ কেটে কায়িক পরিশ্রম করতে বাধ্য করা হয়।
২০০০ সালের প্রথম দিকে উত্তর কোরিয়ার লেবার ক্যাম্পে ছিলেন এমন একজন তার অভিজ্ঞতা বর্ণনায় জানান, পালিয়ে চীন যাওয়ার চেষ্টা করায় তিন নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেখতে বাধ্য করা হয়েছিল ৮০ বন্দিকে।
জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ওই সময় বন্দিদের বলেছিলেন, “এ ঘটনা তোমাদের বেলায়ও ঘটতে পারে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশাসন চায় না এমন সব কার্যকলাপ থেকে নাগরিকদের দূরে রাখার জন্যই তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বেশিরভাগ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ফায়ারিং স্কোয়াডে। এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণত তিনজন শু্যটার তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। অনেক সময় ফাঁসি দিয়েও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে তা খুব কম।
Leave a Reply