লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১২৩ জন জনপ্রতিনিধি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ৮১ জন ইউপি সদস্য, ২৭ জন নারী সদস্য, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন জেলা পরিষদের সদস্য মেঘনার ভাঙন থেকে কমলনগর রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার উপজেলার লুধুয়া ফলকন এলাকায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসলে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি এ ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, আমরা যারা জনপ্রতিনিধি হিসাবে সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠে কাজ করছি তারা নদী ভাঙন রোধের বিষয়ে জনগণকে কোনো জবাব দিতে পারিনা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছি; আশার বানী শুনিয়েছি কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।
আমাদের অন্য কোনো উন্নয়নের দাবি নাই, একমাত্র দাবি মেঘনার ভাঙন থেকে রামগতি ও কমলনগর রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন। আগামী মাসের সভায় যাতে নদী তীর রক্ষা বাঁধের প্রকল্পটি অনুমোদন হয় সে দাবি জানাই।
না হয় উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৯ জন চেয়ারম্যান, ৮১ জন ইউপি সদস্য, ২৭ জন নারী সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন জেলা পরিষদের সদস্যসহ আমরা ১২৩ জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ডা. এএইচএম কামরুজ্জামান, কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার ও বিকল্পধারার উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মিয়া।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, আশ্রয়কেন্দ্র, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা মেঘনা নদী গিলে খাচ্ছে।
হাজার-হাজার পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে সব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দিন দিনই ছোট হয়ে আসছে এলাকা; এমন পরিস্থিতিতে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ জরুরী। না হয় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে রামগতি ও কমলনগর।
Leave a Reply