শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

এই দুর্যোগে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই : ড. কামাল

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০
  • ১৯০
এই দুর্যোগে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই : ড. কামাল
ফাইল ছবি।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, একটা অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে সময়টা যাচ্ছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন কামাল হোসেন। ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ দেশের জনগণ কখনো নিরাশ হয় না। পরিস্থিতি যত ভয়াবহই হোক, এর থেকে মুক্তি পেতে একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই। ভোট দিলাম একজন হয়ে গেল রাজা, আর যারা ভোট দিল তারা হয়ে গেল প্রজা। এটা হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এটা ভাঙতে হবে।

রেজা কিবরিয়া বলেন, জনগণ সরকারকে ভয় পাবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। এই ধরনের রাজনীতি আমরা করতে চাই না। জনগণকে সরকার ভয় করবে, এটা হতে হবে। মানুষের মধ্যে রাজনীতি, সরকারে যারা আছে তাদের প্রতি বিদ্বেষ, অবিশ্বাস আছে। এটা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তা লাগে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের আস্থা অর্জন করাটা খুব কঠিন। তবে আস্থা হারানোটা খুব কঠিন না। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের অধিকার, ভোটাধিকার রক্ষা করা। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, করোনার আগে দেশের ২০ ভাগ মানুষ গরিবের কাতারে ছিল। এখন এর সঙ্গে আরও ২২ ভাগ যুক্ত হয়েছে। এই ৪২ ভাগ মানুষের সঞ্চয় একেবারেই শেষ। এটা সবচেয়ে মারাত্মক যে তাদের ক্রয়ক্ষমতা ধ্বংস হয়েছে। এখন সরকারের দায়িত্ব সবচেয়ে গরিব মানুষের হাতে টাকা দেওয়া, সহযোগিতা করা। যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া হয়, কলোম্বিয়াতে এমন হচ্ছে। সরকার পরিস্থিতি ঠেকাতে কাজ করছে, তবে তাদের প্রশাসনিক দুর্বলতায় পুরোটা করতে পারছে না।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট-২ আসনের সাংসদ ও গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খান বলেন, বৈষম্য আগেও ছিল, এখনো আছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে এই বৈষম্য রয়েছে। দুর্নীতি এই দেশকে শেষ করে দিচ্ছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি এই রাষ্ট্রকে এগোতে দিচ্ছে না। এর জন্য গণফোরামের নেতা-কর্মীদের জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করতে হবে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি ড. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে তিনি মুঠোফোনে যুক্ত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT