একা মরতে চাননি। তাই আক্রান্ত হয়ে বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি আর নেই। বুধবার (১৯ মার্চ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির গামাগোরি জেলার ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই নিদের্শনা অমান্য করে গত ৪ মার্চ বাইরে বের হন তিনি। যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের বলে যান, ‘আমি ভাইরাস ছড়াতে যাচ্ছি।’
সেদিন ওই ব্যক্তি প্রথমে আইচি অঞ্চলের একটি ইজাকায়ায় (জাপানি বার) যান। সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট থাকেন তিনি। এরপর পাশের আরেকটি ফিলিপিনো বারেও ৪০ মিনিট সময় কাটান ওই ব্যক্তি।
একপর্যায়ে সেখানে অন্য ক্রেতাদের জানান, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে বারের কর্মীরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ডেকে আনেন। এরপর পুলিশও আসে। কিন্তু লোকটি ততক্ষণে ট্যাক্সি নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
এর পরপরই বার দু’টি বন্ধ করে দেয়া হয়। ইতোমধ্যেই ওই ফিলিপিনো বারের এক নারী কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জাপানে এ পর্যন্ত ৮৯৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ২৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে অন্তত ২১ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
Leave a Reply