শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

একের পর এক বিয়ে করে স্বামীকে অপহরণ করাই তার কাজ

সারাদেশ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ৬৭৮
ডিবি পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেফতার ৪

প্রেম করে বিয়ে। এরপর একে একে ৮ জন স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন করাই তার কাজ। আর এই চক্রের সদস্য তিনি একা নন, তার সঙ্গে রয়েছে আরও ৩-৪ জন। এমনই এক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১১।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

আটককৃত অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্য হলো- প্রবাসীর স্ত্রী মারিয়া আক্তার মন্টি (২৩), অভিত মিয়া (২৮),পাপ্পু মিয়া (২৮) ও বাদল মিয়া (৫৮)।

র‌্যাব-১১ এর সহকারী পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা নারী দিয়ে বিভিন্ন বিত্তবানদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করায়। এরপর ওই ব্যক্তিকে বিয়েও করে চক্রের নারী সদস্য। বিয়ের পর ওই নারীর মাধ্যমেই চক্রের অন্য সদস্যরা বিত্তবান ব্যক্তিকে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি আরও জানান, রাসেলের স্ত্রী মন্টি ইতঃপূর্বে একাধিক বিয়ে করে ওই স্বামীদেরও একইভাবে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব আরও জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণকারী চক্রের ৭-৮ ব্যক্তি রাসেলকে নরসিংদী আদালতের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাসেলকে তারা অচেতন করে একটি ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন করে। দ্রুত টাকা আদায়ের জন্য নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে অপহৃত রাসেলের স্বজনদের ফেসবুকে পাঠিয়ে দেয় তারা।

রাসেলের নির্যাতনের ভিডিও চিত্র দেখে পরিবারের লোকজন চক্রের সদস্যদের দুই লাখ টাকা দিতে চাইলে অপহরণকারীরা রাজি হয়। এর মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে চক্রের কাছে পৌঁছে যায় ৬০ হাজার টাকা। অবশিষ্ট টাকা আদায় করতে গত ২৯ ডিসেম্বর তারা রাসেলকে মাইক্রোবাসে নিয়ে বের হয়। মাঝ পথে রাসেল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বললে তাকে গাড়ি থেকে নামানো হয়। এ সময় রাসেল ডাকাত বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে অপহরণকারীরা তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীদের নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও মামলা না করার জন্য নানাভাবে রাসেলকে হুমকি দিতে থাকে চক্রের সদস্যরা। চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী রাসেল নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে এসে অপহরণের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব ৪ জনকে আটক করে।

নির্যাতনের শিকার রাসেল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারকে না জানিয়ে মন্টিকে বিয়ে করি। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি সৌদি আরবে চাকরি নিয়ে চলে যাই। বিদেশ গিয়ে বাবা আবদুল হককে বিয়ের কথা জানাই। পরে পুত্রবধূ মন্টিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় আমার বাবা-মা। গত বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ফিরে আসি। এক মাস থাকার পর ওই বছরের মে মাসে আবার সৌদি আরবে চলে যাই। সেখানে যাওয়ার পর মন্টি আমাকে জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। পরে বাবা মা আমাকে জানায় মন্টি তাদের না জানিয়ে নরসিংদী বাবার বাড়ি চলে গেছে। যাওয়ার সময় গহনা ও মোবাইল নিয়ে যায়।

এ খবর পেয়ে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবার দেশে ফিরে আসি। মন্টির বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি তার গর্ভপাত হয়েছে। এর চার দিন পর নরসিংদী সদর থানায় আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে মন্টি।

তিনি আরও জানান, স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় আমি কারাভোগও করি। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর মন্টির পরিবার আমাকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর তাকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অভিত, পাপ্পু মিয়াসহ কয়েকজন আমাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। গাড়িতে ওঠানোর সঙ্গে সঙ্গে সিটের নিচে নিয়ে মারধর করে। তৃষ্ণায় আমি পানি চাইলে আমাকে তারা সেভেন আপ দেয়। কিন্তু সেভেন আপ পানের পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

চেতনা ফেরার পর দেখতে পাই আমার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমি একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছি। এর কিছুক্ষণ পরই আমার ওপর শুরু হয় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন। এমনকি পুরুষাঙ্গও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

One response to “একের পর এক বিয়ে করে স্বামীকে অপহরণ করাই তার কাজ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT