বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েই চলছে। গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে এক শতাংশের ওপর। তিন সপ্তাহ ধরেই তেলের এই দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত। ফলে মাসের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ।
ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের কারণে গত ২০ এপ্রিল প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়। রেকর্ড এই দরপতনের পরই তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং লিবিয়ার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় দরপতন হয়। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। এতে নভেম্বরের শুরুতে ৪০ ডলারের নিচে নেমে যায় অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল।
এই পতনের ধকল কাটিয়ে আবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ১ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বেড়ে ৪৬ দশমিক ১১ ডলারে উঠেছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে এখনও তেলের দাম ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম রয়েছে।
অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি দাম বেড়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের। গত এক সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৪৯ দশমিক শূন্য ৯ ডলারে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। বছরের এই তেলের দাম ২৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কম রয়েছে।
অপরদিকে হান্টিং অয়েলের দাম গত এক সপ্তাহে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি গ্যালনের দাম ১ দশমিক ৩৯ ডলারে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে হান্টিং অয়েলের দাম ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম রয়েছে।
Leave a Reply