শিরোনাম :
রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি কিছুই না: তামিম ইকবাল

এবারও হয়নি মিলনমেলা, স্ব-স্ব জলসীমানার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন

আসাদুজ্জামান
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৩১৯

হিন্দু সম্প্রদয়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীতে এবারও সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত নদী ইছামতিতে স্ব-স্ব জলসীমানার মধ্যে থেকে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হয়েছে। ফলে তেমন জাকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা। সকাল থেকে ইছামতি নদীর দু’পারে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলেও স্ব-স্ব জলসীমার মধ্যে নৌকা ভাসানোর কারণে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে। আর এর ফলে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে যান দু’বাংলার মানুষ।

প্রতিমা বিসর্জনের মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস.এম, মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোঃ ইলতুৎ মিশ, দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গনি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন প্রমুখ।

এর আগে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ সমাবেশ করে দুই দেশের নিরাপত্তা বিষয়ক কৌশল গ্রহণ করে। এর সাথে যুক্ত হয় দেবহাটা উপজেলা পরিষদ ও ভারতের টাকি পৌরসভা ।

মিলন মেলায় অংশ নিয়ে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গনি বলেন, বাংলার চিরায়িত সংস্কৃতি হিসাবে দুই বাংলার এই মিলন মেলা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শত বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। এ সময় একাকার হয়ে যায় সব ধর্ম বর্ণের মানুষ। তারা পরস্পরকে শারদীয়া শুভেচ্ছা জানান।

ভারতের পশ্চিম বাংলার টাকি পৌরসভার মেয়র সোমনাথ চ্যাটার্জি বলেন, প্রতি বছর আমরা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকি। এদিন দুই বাংলার মানুষ তাদের ভৌগলিক সীমানাকে পেছনে ফেলে একাকার হয়ে যায়। তিনি বলেন আজ উমাদেবী মর্ত্যধাম থেকে স্বামীগৃহে চলে যাচ্ছেন। আমরা মায়ের কাছে পুত্রং দেহি, ধনাং দেহি, মঙ্গল দেহি, শান্তি দেহি, ফল দেহি মন্ত্র পাঠ করে তাকে বিদায় দিতে এসেছি। তিনি চলে গেলেন কৈলাশধামে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।

ঘোটকে কৈলাশধাম থেকে চিরশান্তির বরাভয় নিয়ে মর্ত্যভ‚মিতে এসেছিলেন দেবী দুর্গা । জাগতিক অসুর শক্তি , অপশক্তি, দুর্গতি ও অমঙ্গলকে পরাভ‚ত করে দেবী ছড়িয়ে দিলেন মঙ্গল সুখ ও শান্তির ললিত বাণী। তিনি ধরাধামে দিয়ে গেলেন অঢেল সম্পদ ,ফসল। পূরন করে গেলেন ভক্তদের মনোবাসনা। মিলনমেলার মধ্য দিয়ে ‘মা তুমি আবার এসো’ এই আহবান রেখে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিদায় দিলেন জগজ্জননী দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT