এবার ইসিতে শুদ্ধি অভিযান, অপরাধী ১৫

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ১৪৬

ভোটার আইডি জালিয়াতি ও দুর্নীতি ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে রোহিঙ্গাদের ভোটার করাসহ বেশ কিছু জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একটি তালিকা করা হয়েছে। যেখানে ইসির অন্তত ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এমটাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

তালিকায় সন্দেহভাজনদের পরিচয় গোপন রাখার কথা জানিয়ে এনআইডির ডিজি বলেন, প্রাথমিক দুই তদন্তে অপরাধীর তালিকায় অনেকের নাম এসেছে। তবে সেটা ১৫ জনের অধিক হবে না। এখই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। কারণ এর আগে দুজনের নাম মিডিয়াতে প্রকাশের পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মহাপরিচালক জানান, সন্দেহভাজনদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যাদের নাম এসেছে তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অপরাধে চাকরিচ্যুত।

ডিজি জানান, ইসির মূল সার্ভার সুরক্ষিত রয়েছে। অনেকে অনেক কিছুই না জেনে কথা বলেন। অপরাধীদের কারণে ইসির সার্ভারে কিছু রোহিঙ্গার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে কমিশনের মূল সার্ভারে আগামী ২৪ জানুয়ারির আগে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। কারণ আগামী ১ জানুয়ারি ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। পরে যাচাই-বাছাই ও দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে মূল সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মূল সার্ভারে রোহিঙ্গাদের আসার সুযোগ নেই। কারণ তাদের ফিঙ্গার আমাদের কাছে আছে। খসড়া যাচাই বাছাইয়ে টেম্পোরারি ঢুকে যাওয়া রোহিঙ্গারা বাদ পরে যাবে। এখন পর্যন্ত এমন ৬১ জন রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এনআইডির কাজে অতীতে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যারা ইসি থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছে, তাদের তালিকা বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যেন তাদের অস্থায়ীভাবে আর নিয়োগ দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে দুদকের সহযোগিতা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একবিন্দুও ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন এনআইডির সর্বোচ্চ এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT