স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এই যে ঘটনাগুলি ঘটছে, যেমন ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফির মতো করে ভিডিও করে একজনের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।… এ ধরনের জঘন্য অপরাধের জন্য কী শাস্তি হওয়া উচিত?
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীতে যেটা ঘটল, বর্বরতার একটা চরম সীমা আমরা দেখলাম।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, অবশ্যই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি তারা পাবে। আমরা সেই কাজটিই করব, যাতে করে একটা সুন্দর তদন্ত রিপোর্ট আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী দিতে পারেন। সে জন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
এমসি কলেজে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার মধ্যে যারা লিপ্ত হয়েছেন, তারা জঘন্য অপরাধ করেছেন, তার শাস্তি তাদের পেতে হবে। সে জন্য আমরা একটা নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট দেব, যাতে সেখানে তারা শাস্তি পায়।
তিনি বলেন, এমসি কলেজের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তার সব আসামিকে ইতিমধ্যে ধরা হয়েছে। আর নোয়াখালীর ঘটনায় দুজন ছাড়া বাকি সবাইকে ধরা সম্ভব হয়েছে ।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার পরপরই আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করছি এবং ধরছি। এখানে কোনো রকমের শৈথিল্য কিংবা গাফিলতি নিরাপত্তাবাহিনী দেখায়নি কিংবা করেনি। সব জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং যারা অন্যায় করেছে তাদেরকে ধরেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন আছে বলেই আমরা অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং আইন অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা করার জন্য বিচারকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ রকম যদি হতো যে আমরা চুপচাপ এবং আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী চুপচাপ বসে আছে; এমন যদি হতো যে তারা কিছুই করছে না, স্থানীয় প্রশাসন কিছুই করছে না। তাহলে আপনারা বলতে পারতেন আইনের শাসন নেই।
ধর্ষক-নিপীড়কদের ‘সমাজবিরোধী ও অমানুষ’ আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, ইউএনও, ডিসি, এসপি সবাই এক সঙ্গে কাজ করছে এসমস্ত ধর্ষক ও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে বলে অপরাধীদের ধরতে ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারছি।
নোয়াখালীতে নির্যাতনের সেই ঘটনা ঘটেছে এক মাস আগে, স্থানীয় প্রশাসন এত দিন কী করছে- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণত যারা ভিকটিম হয়, তারা লুকিয়ে যায়, প্রকাশ করতে চায় না। এই জায়গায় কি সে রকম হয়েছে কিনা আমি জানি না। যখনই আমাদের নজরে এসেছে, তখন থেকেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ শুরু করেছেন এবং দ্রুততার সঙ্গে তাদেরকে ধরে ফেলেছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারতো সব জায়গায় হচ্ছে। আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি সেগুলো আমলে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তদন্ত করে তাদেরকে ধরছে ও ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেখানেই অভিযোগের সত্যতা পাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে বাদ দিচ্ছে না, সবাইকে ধরছে।
Leave a Reply