পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের (৩০) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে আখালিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলেন পিবিআই সদস্যরা।
মরদেহ তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পুলিশের পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল হাসান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান এবং রায়হানের স্বজনরা।
এদিকে, পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. খালেদুজ্জামান জানান, মামলার এজহারের অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা দায়ী তাদের আইনের আওতা আনা হবে। গত রোববার উপপরিদর্শক আকবর হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রায়হানকে ধরে এনে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করে, মামলা করেন তার স্ত্রী।
মো. খালেদুজ্জামান জানান, ‘মেজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাতে লাশের সুরতাল হলো। এখন আমরা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি ওখানে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে হয়তো পোষ্টমোর্টেম সম্পন্ন হবে। অজ্ঞাতনামা যারা আসামী আছে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলতেছে।’
এর আগে, বুধবার (১৪ অক্টোবর) পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে তোলার আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল বাতেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নিহত রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
গত রোববার ১১ অক্টোবর সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন মারা যান। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। নিহতের পরিবারের লোকজন ও স্বজনদের দাবি, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।
Leave a Reply