করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছে সারা বিশ্ব। গত দু’দিন আগে বাংলাদেশের তিনজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি মিডিয়াতে জানাজানি হলে গতকাল মালদ্বীপ ও কাতার সরকার বাংলাদেশ থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইট আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) মালদ্বীপের সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশিসহ সকল বিদেশীদের মধ্যে কোম্পানিগুলো দেখাশোনার জন্যে মাত্র ১০শতাংশ রেখে বাকি ৯০শতাংশ বিদেশি শ্রমিক পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এক টিকেটে যতদিন না এই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক না কাটে ততোদিন কোন বিদেশী শ্রমিক মালদ্বীপে আনা হবেনা। তবে আতঙ্ক কাটলে ফেরত পাঠানো কোম্পানির লোকদের আবারো আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির সরকার।
এদিকে চরম বিপদের মুখে পড়ে যাচ্ছেন অবৈধ প্রবাসীরা। তাদেরকে কে পাঠাবে দেশে! কেননা মালদ্বীপ প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশ অবৈধ লোক বছরে ৩/৪ মাস বেতন পায়না! তাহলে তারা কিভাবে তাদের টিকেটের টাকা যোগাড় করবে! এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সংকট। আর যদি মালদ্বীপে থাকতে চায় তাহলে তারা কোন চাকুরি পাবেনা। সবমিলে প্রশ্ন দাড়ালো তাদের গেস্ট হাউস ভাড়া ও খাওয়ার টাকা কোথা থেকে আসবে। কেননা এই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কতোদিন থাকবে তা নিশ্চিত নয়। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বন্ধ হয়ে গেছে মালদ্বীপের মৎস্য ইনপোর্ট-এক্সপোর্ট। এছাড়াও বন্ধ হয়েছে ট্যুরিজম। যেটা মালদ্বীপের একমাত্র আয়ের মহা উৎস।
মালদ্বীপ এখন এক প্রকারের অচল দেশ হিসেবে বললেও ভুল হবেনা। মালদ্বীপের অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ যা দেশটির জন জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply