শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

করোনা আক্রান্ত পৃথিবীতে নিঃসঙ্গ শিশুটির একা লড়াই

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০
  • ২১৯
নিঃসঙ্গ শিশুটির একা লড়াই

হাসি-খুশি পরিবেশ যেন হঠাৎ করেই থমকে গেছে। সুন্দর পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা আর মৃত্যুর মিছিল। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। চীনের উহার শহরকে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে গত ২৩ জানুয়ারি। সে সময় শহরটি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার।

লক ডাউনের সে সময়ে মস্ত বিপদে পড়েছিল উহান শহরের এক ছোট্ট শিশু। পাঁচ বছর বয়সী শিশু ইউয়ানইউয়ানের মা-বাবা, দাদা-দাদি সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে একে একে ভর্তি হয় হাসপাতালে। বাসায় কেবল ছিল সে। অথচ এই শিশুটি খাবার, গোসল সবকিছুর জন্য নির্ভরশীল ছিল বাবা-মা এর ওপর।

জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সম্প্রতি এই শিশুটির ছবিসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চীনের উহান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ইউয়ানইউয়ানকেও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে রাখা হয়েছিল। তার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে। তাকে নিয়মিত খাবার দেওয়া হতো আর সে নিয়ম করে খেত।

একা থাকার দিনগুলো ছাপ ছড়িয়ে রয়েছে তার জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। যে স্বাস্থ্যকর্মী তার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তিনি তাকে কীভাবে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে হবে, সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

কীভাবে খাবে, ঘুমাবে, সময় কাটাবে সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। সে নিখুঁতভাবে সব অনুসরণ করেছিল। একা থাকার সময় শিশুটি বেশ কিছু ছবি এঁকেছে । কীভাবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলার কথা ভাবছে তা উঠে এসেছে তার চিত্রকর্মে।

মা আর দাদিকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে যাওয়া, সাঁতার কাটা ইত্যাদি স্মৃতিও উঠে এসেছে তার ছবিতে। করোনাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা, সূর্যের তাপ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার দৃশ্যও সে কল্পনা করেছে।

তবে শিশুটি কত দিন হাসপাতালের ওই কক্ষে একা ছিল, তার বাবা-মা আদৌ সুস্থ হয়েছিল কি না কিংবা শিশুটি বাসায় ফিরেছে কি না তার কোনো তথ্য ইউনিসেফের এই প্রতিবেদনে উঠে আসেনি।

মূলত একটি শিশুকে একলা রাখতে হলে কীভাবে তা করতে হবে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশনা ও চিত্র উঠে এসেছে। ইউনিসেফ বলছে, এ থেকে অন্য আক্রান্ত দেশগুলো শিক্ষা নিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT