শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

করোনা আতঙ্ক : শিশুকে সচেতন করার দায়িত্ব আপনারই

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০
  • ১৭৫
শিশুকে সচেতন করুন

করোনা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে ছোট-বড় সবার মনে। ইতোমধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশুরা হয়ে পড়েছে ঘরবন্দি। করোনা নিয়ে নিজে সচেতন তো হয়েছেনই, কিন্তু আপনার সন্তান? বড়দের মতো শিশুরা নিজে অনেক বেশি জানতে পারে না। তাদের জানানোর ও সচেতন করার দায়িত্ব অভিভাবকদের। অর্থাৎ, আপনার শিশুকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে আপনাকেই।

নিজে সঠিক তথ্য জানুন

ঠিক তখনই আপনি আপনার সন্তানকে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন যখন আপনি নিজে তা জানবেন। ইতোমধ্যে করোনা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ও তথ্য ছড়িয়েছে। এসবের কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল সেটি আগে নিজে জেনে নিন। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র বা প্রমাণ ব্যতীত কোনো তথ্য বিশ্বাস করবেন না।

শিশুকে বোঝান শিশুর মতো

আপনার বা আমার মতো ভারী ভারী বৈজ্ঞানিক শব্দ বা ব্যাখ্যা শিশুর মাথায় ঢুকবে না। তাকে বুঝাতে হবে তার মতো করে। শিশুর বয়স যদি ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে হয় তবে তাকে কম তথ্যে বিষয়টির জটিলতা বোঝান। কী করে সে নিজেকে প্রস্তুত করবে তা শেখান।

শিশু কিছুটা বড় হলে সে নিজেই কিছু তথ্য জানবে ও জানাবে। তার সঙ্গে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে পারেন আপনি। তাকে ভুল তথ্য দিয়ে কোনোভাবেই আতঙ্কিত করবেন না। বরং, কী করে নিজের মানসিকতা শক্ত রাখবে এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে কী কী করা উচিত তা বুঝিয়ে দিন।

এড়িয়ে যাবেন না

‘এসব তোমার বুঝে কাজ নেই। তুমি ছোট এসব বুঝবে না।’— এ জাতীয় কথা বলে শিশুকে এড়িয়ে যাবেন না। এতে তার মনে আরও বেশি কৌতূহল ও ভয় সৃষ্টি হবে। সেসঙ্গে আপনি চিন্তিত হয়ে থাকলে তার প্রভাবও শিশুর ওপর পড়বে। তাই তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। তবে মন খারাপ করা সংবাদ শিশুকে কম দেওয়াই ভালো। এতে তার মনে বাজে প্রভাব পড়বে।

ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক হতে বলুন

ছুটি পেয়ে আপনার সন্তান ইন্টারনেটে সময় কাটাতে পারে। তবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্যের শিকার যেন সে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোনো তথ্য বন্ধুদের ফরওয়ার্ড করার আগে যেন অবশ্যই আপনাকে জানিয়ে নেয়, তা সন্তানকে বলুন।

ভুল তথ্য ছড়ালে কী করে আরও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, কেন এমন কাজ করা উচিত নয়, তা তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন। কোন কোন সূত্র বিশ্বাসযোগ্য তাও জানান।

হাত ধুতে বলুন

ইতোমধ্যে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী ও প্রধান উপায় হলো বারবার হাতকে জীবাণুমুক্ত করা। শিশুকে তা জানান। কীভাবে হাত ধুলে সব জীবাণু ধ্বংস করা যাবে তা দেখিয়ে দিন। এ সময় পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা বন্ধ রাখুন।

শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। আপনি সচেতন থাকলে, শিশুও সচেতন থাকবে। তাকে প্রতিদিনের মৃত্যুর সংবাদ না দিয়ে কজন সুস্থ হয়েছে সে কথা বলুন। শক্ত মনে কী করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে তা শেখান। সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT