শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

করোনা থেকে বাঁচাবে ১৯২১ সালের ভ্যাকসিন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৩০
ধর্ষণের প্রতিকারে নারীদের শালীন পোশাকে বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া অভিনেতা ও প্রযোজক অনন্ত জলিল নতুন আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন।

করোনা থেকে বাঁচাবে ১৯২১ সালে আবিষ্কৃত একটি ভ্যাকসিন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে যে, ১৯২১ সালে তৈরি বিসিজি নামের একটি ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে পারে। খবর বিবিসির।

এই বিষয়টি আসলেও সত্যি কীনা তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এক হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো শুরু করেছেন।

যক্ষা ঠেকানোর জন্য এই বিসিজি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় যে এটি অন্য আরও কিছু সংক্রমণের হাত থেকেও মানুষকে রক্ষা করতে পারে।

যুক্তরাজ্যের এই পরীক্ষাটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ। অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও ব্রাজিলের মোট ১০ হাজার লোক এই ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন। এই পরীক্ষায় জোর দেয়া হবে স্বাস্থ্য ও সেবা কর্মীদের ওপর। কারণ তারাই করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন। তাছাড়া গবেষকরাও অনেক দ্রুত বুঝতে পারবেন যে ভ্যাকসিনটি কার্যকর হচ্ছে কিনা।

গত মে মাসে চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে একটি নিবন্ধ প্রকাশ হয় যার অন্যতম লেখক ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস।

সেখানে বলা হয়, বিসিজি টিকা দিলে হয়তো সার্স-কোভ ২ ভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতা কম গুরুতর হতে পারে এবং সেরে ওঠার গতিও দ্রুততর হতে পারে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট টিকা তৈরির আগের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সেতু হয়ে উঠতে পারে এই বিসিজি টিকা।

তবে এ বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে যে, বিসিজি টিকা হয়তো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হয়ে উঠতে পারবে না। কারণ বিসিজি টিকা নেয়া লোকদের কোভিড প্রতিরোধের ক্ষমতা সময়ের সাথে সাথে কমে যেতে পারে।

তাই বলা হচ্ছে, যারা শৈশবে বিসিজি টিকা নিয়েছেন তাদের এখন আর করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা মিলবে না। কারণ ওই টিকা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সেই বিশেষ এ্যান্টিবডি ও শ্বেতকণিকা তৈরি করাতে পারবে না যা করোনাভাইরাসকে চিনতে পারবে এবং ধ্বংস করতে পারে। তাই নতুন করে আবারও তাদের এই টিকা গ্রহণ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যে ২০০৫ সাল থেকে আর বিসিজি টিকা দেয়া হয় না। কারণ দেশটিতে যক্ষা রোগীর সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে যারা ২০০৫ সালের আগে বিসিজি টিকা নিয়েছেন তাদেরকে হয়তো আবার সেই টিকা নিতে হবে। এখন এটাই দেখার অপেক্ষা যে, এই টিকা করোনাভাইরাস থেকে সত্যিই সুরক্ষা দিতে পারবে কিনা।

বেশ কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, নবজাতক শিশুর নিউমোনিয়া ও সেপসিস থেকে মৃত্যু ৩৮ শতাংশ কমাতে পারে বিসিজি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এক জরিপে দেখা গেছে, যারা বিসিজি নিয়েছেন তাদের নাক গলা ও ফুসফুসের সংক্রমণ ৭৩ শতাংশ কমেছে।

নেদারল্যান্ডসে চালানো এক জরিপে দেখা যায়, বিসিজি মানবদেহে ইয়েলো ফিভার ভাইরাসের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুলের অধ্যাপক জন ক্যাম্পবেল বলেন, ব্যাপারটা বৈশ্বিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

কারণ বিসিজি যে সুরক্ষা দেয় তা হয়তো সুনির্দিষ্টভাবে কোভিডের জন্য নয়, কিন্তু এতে কোভিড টিকা তৈরির আগ পর্যন্ত হাতে কয়েক বছর সময় পাওয়া যেতে পারে। সে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো একটাই। তা হলো এমন একটি নতুন টিকা উদ্ভাবন করা যা সুনির্দিষ্টভাবে মানবদেহে করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT