করোনা থেকে মুক্তির জন্য লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় হাজার হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে খতমে শেফা অনুষ্ঠিত হয়। রায়পুরের ঐতিহাসিক হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া রমিচউদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে বুধবার (১৮ মার্চ) ফজরের নামাজের পর এই খতমের আয়োজন করা হয়। উপজেলার হায়দরগঞ্জ সাইয়্যেদ মঞ্জিল এ উদ্যোগ নেয়। সরকারের পক্ষ থেকে লোক সমাগম বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও এই সমাবেশ কীভাবে হলো জানতে চাইলে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা আগে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনা করে হাজারো মুসল্লিকে নিয়ে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সাইয়্যেদ মো. আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবিরী আল-মাদানী। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি সাইয়্যেদ মো. তাহের ইজ্জুদ্দীন জাবেরী আল-মাদানী, ঈদগাহ ময়দানের খতিব হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ মো. জাহেদ ইজ্জুদ্দীন জাবেরী আল-মাদানী, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্যের স্থানীয় প্রতিনিধি কাজী জামসেদ কবির বাক্কী বিল্লাহ, হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর এম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আজিজ মজুমদার, হায়দরগঞ্জ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফজরের নামাজের আগেই লোকজন সমবেত হতে শুরু করে। সূর্যদয়ের পর পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য তারা দোয়ায় অংশ নেন। অন্তত ২৫ হাজার লোক সেখানে সমবেত হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ ইন্সপেক্টর বেলায়তে হোসেন জানান, ‘আমরা আগে থেকে এ জমায়েত সর্ম্পকে কিছুই জানতাম না। আজ ফজরের নামাজ থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত খতমে শেফা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।’
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার অফিসার ইনর্চাজ তোতা মিয়া জানান, তারা এ ব্যাপারে আগে থেকেই কিছু জানতো না।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সায়্যেদ তাহের জাবেরীকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার এএইচ কামরুজ্জামান জানান, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। আর এটা কোনও মাহফিল ছিল না। এটা ছিল করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য ফজরের নামাজের পর মোনাজাত।’
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, ‘আমরা কোনও সভা সমাবেশ ও মাহফিলের পারমিশন দেইনি। তারা কীভাবে এটা করলেন আমরা জানি না। এ বিষয় জানার পর রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে নির্দেশ দিয়েছি যারা এটার আয়োজন করছেন তাদের ডেকে কারণ দর্শানোর জন্য।’
Leave a Reply