প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সরকার চীন থেকে ফল আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে।
গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ফল আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ চীন থেকে ফল আমদানি করে। এ ফলের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা সম্পর্কে ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিমুল হক ইসার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনে নববর্ষের ছুটি ছিল। এর আগে যেগুলো এলসি সেগুলো আসছে, বাকিগুলো তারা বন্ধ করে রেখেছে। এক্সপোর্ট করার জন্য লেবার পাচ্ছে না তারা, সেজন্য ফল আসবে না। এর ফলে রোজার মধ্যে সমস্যা হবে না। কারণ মালদ্বীপ, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফল আমদানিও শুরু করা হয়েছে।’
রোজার সময় ফলের সরবরাহে চীনের করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা রোজার সময় মূলত খেজুর খেয়ে থাকি। সে সময় অনেক গরম থাকবে। আর বিজ্ঞানীরা বলছেন, গরম পড়লে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে যায়। কিন্তু এ ভাইরাস ফলের মাধ্যমে না আসলেও এ মুহূর্তে আমরা চীন থেকে ফল আমদানিতে আমদানিকারকদের ডিসকারেজ (নিরুৎসাহিত) করব।’
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘করোনা ভাইরাস হিউম্যান হোস্ট ছাড়া মসলা বা ফলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এখনও এমন কোনো তথ্য গণমাধ্যমে আসেনি। তবে চীনে নিউ ইয়ারের পর যেসব আমদানি শুরু হওয়ার কথা ছিল তা এখনও আসেনি। কিন্তু ফল বা মসলার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে এমনটা আমরা মনে করছি না।’
সভাতে ব্যবসায়ীরা কলা, লিচু, আনারসের আন্তর্জাতিক বাজার ধরার জন্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনে সরকারের সহযোগিতা চাইলে কৃষিমন্ত্রী ফল রপ্তানির জন্য প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেজিং কারখানা করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply