কলারোয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪ শতাংশ লাভে ঋণ দেয়ার নামে (সোনালী ব্যাংক-গয়ড়া শাখায়) এক লাখে নগদ ৩হাজার টাকা গুনতে হয়েছে সাধারণ গ্রহকদের। সোমবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গয়ড়া বাজারে সাধারণ গ্রাহকগণ এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, সোনালী ব্যাংক-গয়ড়া শাখা থেকে এক লাখ টাকা ব্যবসায়ীক ঋণ নিলে নগদ তিন হাজার টাকা দিতে হচ্ছে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা মুন্সী আবু হাসানকে। এছাড়া কৃষি ঋণ নিলে নগদ দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হচ্ছে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা তানজীর আহম্মেদকে।
ঋণ গ্রহণকারী নিমাই চন্দ্র পালের ছেলে আশোক কুমার পাল ওই ব্যাংক থেকে ১লাখ টাকা ঋণ নিলে তাকে নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এছাড়া অহেদ আলীর ছেলে নুরুজ্জামান ও আবুল বাশারের ছেলে জামান দুইজনই মিলে ২লাখ টাকার ঋণ নিলে তাদের ৫হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
এভাবে আফছার আলীর ছেলে গোলাম হোসেনের ১লাখ টাকা ঋণে তিন হাজার, আবদুস সালাম হোটেল ব্যবসায়ীর ১লাখ টাকা ঋণে ৪হাজার, মৃত মাওলা মিস্ত্রীর ছেলে ইলিয়াস হোসেনে ১লাখ টাকা ঋণে ৩হাজার, লক্ষণ কুমার মজুমদারের ছেলে পার্থ সারথি মজুমদারের ৯ শতাংশ লাভে ১লাখ টাকা ঋণে ৩হাজার, মৃত মোসলেম এর ছেলে মশিয়ার রহমানের মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঋণে ২হাজার, ইছাহাক আলীর ছেলে মিকাঈল (মিষ্টির দোকান) ১লাখ টাকা ঋণে ৩হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
জানা গেছে, এবার সোনালী ব্যাংক গয়ড়া শাখা থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪ শতাংশ ও ৯ শতাংশ লাভে ১০০জন ব্যবসায়ীকে ১ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই শাখা থেকে ১৫০জনের মধ্যে কৃষি ঋণ হিসাবে ৩০লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই শাখার অভিযুক্ত মুন্সী আবু হাসান ও তানজীর আহম্মেদ জানান, ব্যাংকের নিয়ম মাফিক তাদের ঋণ দিয়েছেন। গ্রাহকদের কোন অভিযোগ নেই। হয়তো কেউ ঋণ না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে এমন ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এবিষয়ে সোনালী ব্যাংক গয়ড়া শাখার ম্যানেজার এইচ এম আহসান ইকবাল বলেন, কোন গ্রাহক ব্যাংকে এসে তার কাছে এমন ধরনের অভিযোগ করেননি। সেহেতু বিষয়টি সঠিক নহে।
Leave a Reply