সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জোরপূর্বক পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করতে বসতবাড়িতে অগ্রিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি গ্রামে।
কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে এ সমস্ত অভিযোগ করেন দামোদরকাটি গ্রামের মান্দার গাইনের পুত্র আব্দুর রহিম, লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন- আমাদেও ভিটে মাটিতে আগুন দেওয়া সন্ত্রাসীগন লাঠিয়াল, পরসম্পদ লোভী, লুটপাটকারী ব্যক্তি। তাহাদের সহিত আমার পূর্ব হইতে জমি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে এবং বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলিতেছে। উক্ত বিরোধীয় জমির মামলা নিয়ে বিবাদীগণ আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যগণের উপর দারুনভাবে শত্রুতা পোষণ করিয়া থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ইং- ২৬/০৮/২০১৯ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:০০ ঘটিকার সময় আমি সহ আমার ভাইয়েরা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে বিবাদীগণ অবৈধ জনতা বদ্ধে হাতে লোহার রড, শাবল, ধারালো দাঁ, রামদা, কুড়াল, আগুন জ্বালানোর জন্য পেট্রোল সহ দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে বাড়ীঘর ভাংচুর করিতে থাকে। তখন আমার স্ত্রী মোছাঃ নারগিস খাতুন বিবাদীদের নিষেধ করিলে থানায় লিখিত অভিযোগে বনির্ত ১নং আসামী শেখ এনামুল হকের হুকুমে শেখ রবিউল ইসলাম (৫৫), শেখ নজরুল ইসলাম (৫৩), শেখ কবিরুল ইসলাম দলবদ্ধভাবে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ভাবে লোহার রড আঘাত করিতে থাকে। তখন আমার স্ত্রী মাটিতে পড়িয়া গেলে শেখ শাহারুল ইসলাম (৪৬),শেখ রাজা (২২),শেখ শহীদ (২৮) বুকের উপর বসিয়া বেধড়ক মারপিট করে এবং রবিউল ইসলামের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া বাম হাতের পাকরুই লাগিয়া মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। তখন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ লাকি খাতুন (৩০) ঠেকাতে আসিলে শেখ সুমন (২৮), শেখ রায়হান (২৭), শেখ সোবহান (২২) তার মাথার চুল ধরিয়া কিল ঘুষি মারিতে থাকে এবং সকলে একত্রে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘরের ভিতরে নিয়ে শরীরের কাপড় চোপড় টানা হেছড়া করিয়া ছিড়িয়া ফেলিয়া শ্লীলতাহানী করে তখন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী দৌড়ে পালাতে গেলে সন্ত্রাসী রাজা হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার বাম পার্শ্বে লাগিয়া মারাতœক গুরুতর রক্তাত্ব জখম প্রাপ্ত হয়। ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আমার মাতা মোছাঃ হাজিরোন খাতুন (৬৫) ঠেকাতে আসিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও বেধড়ক মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। এরপর আমার ভাবী মোছাঃ তানজিলা খাতুন (৩০) কেও বিবাদীগণ এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে মারপিট করিতে মারাতœক জখম প্রাপ্ত করে। মারপিটের একপর্যায়ে সকল বিবাদী বাড়ীর কাপড় চোপড় সহ বাড়ীর আসবাপপত্র একত্রে করিয়া পেট্রোল মারিয়া আগুন দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে অনুমান ৭৫,০০০/- (পচাত্তোর হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া বাড়ীতে থাকা নগদ ৪৫,০০০/- (পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা নিয়ে নেয়। আমার ছোট ভাই ভাইয়ের স্ত্রী কানে থাকা ০৪ (চার) আনা ওজনের স্বার্ণের চেইন এবং মায়ের গলায় থাকা ০১ (এক) ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার সর্বমোট মূল্য অনুমান ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা জোর পূর্বক ছিড়িয়া নিয়ে নেয়। এছাড়া সকল বিবাদীগণ বাড়ীর চাল সহ বাড়ী ঘর ভাংচুর করিয়া অনুমান ৮৫,০০০/- (পচাআশি হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। বাড়ীতে আমার স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবং মাতা অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকিলে বিবাদীগণ মৃত মনে করিয়া দ্রুত বাড়ী হইতে বাহির হইয়া তাদের বাড়ীতে চলিয়া যায়।
স্থানিয় লোকজন সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবলীলা দেখেছে। আমার স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, ভাবী এবং মাতার অবস্থা আশংকা জনক দেখিয়া দ্রুত চিকিৎসার জন্য কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসিলে কত্যর্বরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম তাদের অবস্থা গুরুতর দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি কথা বদলি করেন।
এ ব্যাপারে কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:শফিকুল ইসলাম বলেন,আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)রাজিব হাসান জানান-গৃহে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply