শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

কাঁদলেন নির্জনকক্ষে বন্দী মিন্নি

সারাদেশ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৯৯
মিন্নি খালাস পাবেন আশা বাবার, সর্বোচ্চ শাস্তি চান রিফাতের বাবা
ফাইল ছবি।

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির কান্নাকাটি করেছেন। নির্জন কনডেম সেলে তিনি একাই বন্দী আছেন। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি পাঁচ আসামি স্বাভাবিক রয়েছেন।

কারা সূত্র ও মিন্নির পরিবার সূত্রে এসব জানা গেছে।

কারা সূত্র জানায়, বুধবার রায় ঘোষণার পর ছয় আসামিকে বিকেল ৩টার দিকে কারাগারে নেয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য নির্ধারিত কনডেম সেলে রাখা হয়। রায় শোনার পর থেকে মিন্নি বিষণ্ন ও চুপচাপ ছিলেন। তাকে রাতে খাবার দেয়া হলেও সামান্য খেয়েছেন। বাকি পাঁচ আসামি স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন।

অপরদিকে মিন্নি বৃহস্পতিবার সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় কান্নাকাটি করেছেন বলে জানা গেছে। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সকাল ১০টার দিকে মিন্নি আমার আর তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। কারাগারে সে ভালো নেই। তাকে একা একটি নির্জনকক্ষে রাখা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক, ‘আমার মেয়ে নির্দোষ। একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়া আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে দ্রুত উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।’

বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, এই কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য কোনো নারী আসামি নেই। ফলে মিন্নি একাই কনডেম সেলে আছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর পাঁচ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। রিফাত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি ছাড়া কনডেম সেলে আপাতত অন্য কোনো বন্দী নেই।

জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দীকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে। এখানে তারা কারা বিধি অনুযায়ী এই পোশাক পরবেন।

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বুধবার এই মামলার রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেন। বাকি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচার কার্যক্রম চলছে শিশু আদালতে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করেন সন্ত্রাসীরা। পরে ওই দিন বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

খালাস পাওয়া চার আসামি হলেন মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। মুসা এখনো পলাতক।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT