কয়েক দিন আগের কথা। রাত আনুমানিক ৮টা। হঠাৎ ভিলনিয়াসের পুলিশ এক নারীর কাছ থেকে সাহায্যের অবেদন পায়। মহিলা দাবি করেন, তাঁর স্বামী এবং দুই প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে তাঁকে বাথরুমে আটকে রেখেছে। একজন পুলিশ সদস্য দেরি না করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও যান। গিয়ে বুঝতে পারলেন, পারিবারিক কোনো কলহের জেরে এটা ঘটেনি।
বরং ভদ্রমহিলার স্বামী জানান, স্ত্রীকে বাথরুমে বন্দি করে রাখার কারণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ায় অদ্ভুত এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় মিডিয়াজগৎ।
আরেকটু জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেল, মহিলা সাম্প্রতিক সময়ে ইতালি গিয়েছিলেন এবং সেখানে চীনা কয়েকজনের সংস্পর্শে এসেছেন। মহিলা নিজেই বিষয়টা স্বামীকে জানিয়ে বলেন, আশঙ্কা করছেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। স্ত্রীকে আশ্বাস দেওয়ার বদলে ভদ্রলোক একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চিকিৎসক স্ত্রীকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দেন। তখনই তিনি ও দুই ছেলে মিলে তাঁকে বাথরুমে আটকে ফেলেন। পুলিশ পরিস্থিতি বুঝে মহিলাকে একটা অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করে। অবশ্য তাঁদের আশঙ্কা, মিথ্যা প্রমাণিত করে নারীটির শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply