সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় যেন মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। গভীর রাতে ঘরের গ্রিল ভেঙে হরহামেশেই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া কোনো মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে আমরা মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।
বুধবার (১৯ আগস্ট) রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে জি.এম রবিউল্লাহ বাহার ও তার ভাই জি.এম সাইফুল্লাহ বাহারের দুটি মোটরসাইকেল ঘরের গ্রিল কেটে নিয়ে গেছে চোরেরা। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক জি. এম সাইফুল্লাহ এবং জি.এম রবিউল্লাহ বাহার কালিগঞ্জ থানায় আলাদা-আলাদাভাবে ২ টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও মোটরসাইকেল দুটির সন্ধান এখনো মেলেনি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব বছির গাজীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব শমসের আলী গাজীর বাড়িতে সুকৌশলে পাঁচিল টপকে ঘরের গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে তার ছেলেদের ব্লু কালারের সুজুকি (সাতক্ষীরা হ-১২-০৫৫৬) ও লাল কালারের হাং (সাতক্ষীরা হ- ১১৬১৮৪) মোটরসাইকেল চোরে চুরি করে নিয়ে গেছে।
এছাড়া গত গত (১৩ আগস্ট) রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামে আব্দুর রহিম জোয়ার্দারের বাড়িতে তার বেড়াতে আসেন ভাইরা আমিনুর রহমান। ওই দিন দিবাগত রাতেই ঘরের গ্রিল কেটে তার পালসার ১৫০সিসি (খুলনা মেট্রো ল-১২-৪৫২৮) লাল-কালো রংয়ের মোটরসাইকেলটিও চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। অনেক খোঁজাখুজির পরও মোটরসাইকেলের সন্ধান না পেয়ে আমিনুর রহমান গত ১৪ আগস্ট কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এছাড়া ওই রাতে একই এলাকার জনৈক মহাসিনের বাড়ির গ্রিল ভেঙে ইমরান হোসেন নামের ভাড়াটিয়ার মোটরসাইকেলও চুরি হয়ে যায়। ইমরান হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্ত করেও আজও উদ্ধার করতে পারিনি চুরি হয়ে যাওয়া কোন মোটর সাইকেল।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেন বলেন, আমরা মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নিয়ে কাজ করছি। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে সাথে-সাথেই মাঠে নেমে পড়ছি। যদিও বৃষ্টির কারণে একটু অসুবিধা হচ্ছে তবুও কালিগঞ্জে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাথে পরামর্শ করে তাদেরকেউ এ ব্যাপারে সজাগ থাকার কথা বলেছি।
কালিগঞ্জে অন্যান্য অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও মোটরসাইকেল চুরি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, এভাবে মোটরসাইকেল চুরি হওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক তবে এই মোটরসাইকেল চোর চক্রকে ধরতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন আমরা নিচ্ছি। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ মাদক এবং অন্যান্য সবধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বদ্ধপরিকর।
Leave a Reply