শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

কাল যুক্তরাজ্যে নির্বাচন, লড়বেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ প্রার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ২১২
কাল যুক্তরাজ্যে নির্বাচন, লড়বেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ প্রার্থী

যুক্তরাজ্যজুড়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) অনুষ্ঠিত হবে দেশটির জাতীয় নির্বাচন। প্রায় দেড় মাসের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে দেশজুড়ে এদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ জন প্রার্থীও রয়েছেন।

কনজারভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনের অবসান হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন জরিপে বলা হচ্ছে।

যদিও ভোটের ফলাফলের আগে এখনো চূড়ান্তভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ ছোট–বড় অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই গত ২২ মে আকস্মিক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যদিও ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনের পর লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল।

নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জনমত নিজেদের দিকে টানতে চলমান সমস্যার সমাধানে ও সুসংহত যুক্তরাজ্য গড়ে তুলতে নির্বাচনী ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিয়ার স্টারমার না কি ঋষি সুনাক—কে ফিরবেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে? এক দিন পরই জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল।

ব্রেক্সিট পরবর্তী সময় থেকে যুক্তরাজ্যের ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যাসহ সাম্প্রতিক সময় অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি ফিলস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থানও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার তার প্রচারনায় বলে আসছেন, ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতি পুনর্গঠন, স্বাস্থসেবাকে গতিশীল করা, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, স্কুলগুলোতে আরো শিক্ষক নিয়োগসহ অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা না পাঠিয়ে নিজ নিজ দেশে পাঠাবেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির টানা ১৪ বছরের ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ থেকে দেশকে পুনর্গঠনের জন্য ৪ জুলাই লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে জনমতকে পাত্তা না দিয়ে আবারও বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ঋষি সুনাক। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, লেবার পার্টির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলা হলেও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি একদম হাল ছেড়ে দেননি। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লেবার পার্টির কাছে আত্মসমর্পণ না করতে বলেছেন।

বাংলাদেশী প্রার্থীদের অবস্থান
হাউস অব কমনসের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০২৪ সালের নির্বাচনে চার হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যেখানে ৯ নারীসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোট ৩৪ জন প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন গত নির্বাচনে বিজয়ী চার নারী রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক, রূপা হক ও আফসানা বেগম। এবারও এ চারজনের বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

 

এদিকে লেবার নেতার বাংলাদেশ সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত বক্তব্যকে ঘিরে ব্রিটিশ বাংলাদেশি ভোটারদের লেবার দলের প্রতি বিক্ষুব্দ করে তুলেছে, যার প্রভাব বাঙালি অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকার দুই প্রার্থী রুশনারা আলী ও আফসানা বেগমকে বেশ প্রতিযোগীতার মুখে ফেলে দিয়েছে। মূলত ডেইলি সানের ইলেকশন শোডাউন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। সে সময় একজন অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে তার অবস্থান জানতে চান। জবাবের এক পর্যায়ে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে টেনে স্টার্মার বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে এ দেশে এসেছেন, তাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে। কয়েকটি দেশের মানুষের এখানে আসা বন্ধ করতে পারি আমরা।’

 

রুয়ান্ডা নীতিকে ‘ব্যয়বহুল’ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘যে দেশ থেকে তারা এসেছেন, সেখানেই তাদের ফেরত পাঠানো হবে। আমি নিশ্চিত করব সেটা।’

 

২০২২ সালের এপ্রিলে রুয়ান্ডা অ্যাসাইলাম প্ল্যান নামের একটি অভিবাসন নীতি প্রস্তাব করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে না রেখে পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পুনর্বাসনের জন্য স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন স্টারমার, তার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা সম্পর্কহীন। নৌকায় করে দেশটিতে যাওয়া অবৈধ অভিবাসীদের তালিকায় বাংলাদেশের নাম অনেক পেছনে। এ ছাড়াও গত এক দশকে ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়া এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ নাগরিক আবেদন করেছে। তার পরই বাংলাদেশের অবস্থান।

 

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনারের পক্ষ থেকেও কূটনৈতিক ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে স্টারমারের বক্তব্যের। যদিও বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়া মাত্রই তোপের মুখে এর ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্টারমার। তিনি বলেছেন, ‘আমি কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। আপনারা যে আমার কথায় কষ্ট পেয়েছেন, এ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’ সেই সঙ্গে তিনি বারবার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করছেন। প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি এমপি হিসেবে বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে তার আনুষ্ঠানিক সফর শুরু হয়েছিল বলেও জানান।

 

এদিকে স্টারমার দুঃখ প্রকাশের আগেই টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি লিডার ও কাউন্সিলর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আখতার লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন। নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পদত্যাগের কথা জানিয়ে বলেন, ‘দলের নেতা যখন আমার কমিউনিটিকে আলাদা করে এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’

 

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেবার পার্টির নির্বাচনী প্রার্থী আফসানা বেগমও। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমি যত দিন আছি, অভিবাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দোষারোপ সহ্য করব না। আমাদের বাংলাদেশি সম্প্রদায় ১৯৭৮ সালে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনে ইস্ট লন্ডনে ২৫ বছর বয়সী আলতাব আলী নিহত হন। তখন আমাদের স্লোগান ছিল, ‘আমরা এখানে ছিলাম, আমরা এখানে থাকব।’ আপনারা আমাকে ভোট দিলে শক্তিশালী আওয়াজের জন্য ভোট দিচ্ছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন। যিনি সংসদে গিয়ে যেকোনো উপায়ে আমাদের অভিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার ও সম্মান রক্ষা করবেন।”

 

টানা চারবার নির্বাচিত এমপি রুশনারা আলী তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘কোনো দেশকে এভাবে এককভাবে বলা ঠিক নয়। এটা ভুল হয়েছে। আমি আমার নেতাদের জানিয়েছি, এভাবে এককভাবে বললে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।’

 

কিন্তু তবুও থামছে না প্রতিবাদ। বাংলাদেশিদের দাবি, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে স্টারমারকে। শুধু বাঙালি নয় ব্রিটিশ মুল ধারার গণমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে চর্চিত হচ্ছে বিষয়টি। এটি নির্বাচনকে কতটা প্রভাবিত করবে তা জানা যাবে নির্বাচনের ফলাফলের পর। তবে আশার আলো হচ্ছে মূলধারার রাজনীতিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বয়ং লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন।

 

লেবার পার্টি থেকে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন রুশনারা আলী। এরপর টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হক। সর্বশেষ আফসানাসহ মোট চারজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি পায় যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশিরা। সবাই নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টি থেকেই। ধারণা করা হচ্ছে, সব ঠিকঠাক থাকলে এবারের নির্বাচনে সেই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। ধারণা করা হচ্ছে, আরো দুই নারী প্রার্থী—রুমী আশরাফ ও রুফিয়া চৌধুরী বিজয়ী হতে পারেন বলে।

 

এ ছাড়া জনমনে ধারণা, নির্বাচনে লেবার দল সরকার গঠন করলে এবং রুশনারা আলী ও টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচিত হলে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমাবারের মতী মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি।

 

যারা হতে পারেন বিজয়ী

রুশনারা আলী
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি তিনি। লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২০১০ সাল থেকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। রুশনারা আলীর জন্ম সিলেটে। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে। টানা তিনবারের এই এমপি ২০১৫ সালে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নে এলাকার স্কুলে পড়েছেন ও কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর করেছেন।

রুপা হক
পুরো নাম রাবেয়া রুপা আশা হক। কিন্তু রূপা হক নামেই পরিচিত। তিনি লেবার পার্টির মনোনয়নে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিনবার পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রুপা আশা হক। তাকে সর্বদলীয় সংসদীয় মিউজিক গ্রুপের ভাইস চেয়ার এবং ক্রসরেলের সর্বদলীয় সংসদীয় পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

আফসানা বেগম
পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। তার আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।

রুমী চৌধুরী
এবার তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। ২০২৩ সালে লিয়া নদীর তীরে ও বেডফোর্ডশায়ারে অবস্থিত লুটন কাউন্সিল থেকে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

রুফিয়া আশরাফ
এই ব্রিটিশ বাংলাদেশি নারী নর্থাম্পটন টাউন কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলর। তিনি প্রথম লেবার পার্টির মনোনয়নে সাউথ নর্থাম্পটন আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তার বাবার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায়। তার স্বামী আবু তাহের মোহাম্মদ আশরাফ সিলেটের সাবেক মেয়র আ ফ ম কামালের ছোট ভাই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT