অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে কথা বলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়।
গত সপ্তাহে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে, পাকিস্তানি ও কাশ্মীরি পতাকা উত্তোলনকারী হাজার হাজার মানুষ কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ভারতের হাই কমিশনের বাইরে প্রতিবাদ করেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ভারতের নারী ও শিশুদের বোতল ও ডিম দিয়ে আক্রমণ করেছিল যা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলে মোদীর সমর্থক এবং তার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্যরা অভিযোগ করেন।
তবে, পুলিশের বাধা এবং আক্রমণাত্মক অস্ত্র বহনের জন্য চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানায় লন্ডনের পুলিশ। জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মোদী বলেন, স্বার্থান্বেষীরা হিংসাত্মক উপায়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘এই প্রসঙ্গে তিনি (মোদী) ভারতের সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বিরুদ্ধে বিশাল জনতার দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ও ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করেছিলেন।’
ব্রিটিশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী জনসন এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং হাই কমিশনের কর্মী এবং দর্শনার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে মোদীকে আশ্বাস দিয়েছেন।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘সন্ত্রাসবাদ ভারত ও ইউরোপ উভয়েরই সমস্যা এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে জনসনকে জানান মোদী। তিনি (মোদি) উগ্রপন্থীতা, সহিংসতা ও অসহিষ্ণুতা দ্বারা উত্থিত হুমকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন, বিশেষত আইএসআইএস-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রসারের প্রসঙ্গে।’
Leave a Reply