শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

কিশোরীর পিত্তথলীতে পাথর নেই, তবুও অপারেশান!

প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০
  • ৩১২
কিশোরীর পিত্তথলীতে পাথর নেই, তবুও অপারেশান!
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভুল অস্ত্রপচারে হাজিরা খাতুন (১৭) নামের এক কিশোরীর পিত্তথলি কেটে ফেলেছে ডাক্তার৷ উপজেলার শেখ  আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ঈসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন অনিবন্ধিত শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে৷  ভুক্তভোগী হাজিরা খাতুন (১৭)  উপজেলার চিতলা গ্রামের জামাল সরদারের মেয়ে৷
কিশোরীর বড় ভাই খায়রুল বাশার এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাজিরা খাতুনের পেটে যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে নিয়ে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডা. ঈসমাইল হোসেন রোগী দেখে জরুরি অস্ত্রপচারের পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শে অপারেশনের জন্য সম্মত হন ভুক্তভোগী কিশেরারীর পরিবার। কিন্তু অপরাশনের পরে কতৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায় যে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিত্ত থলিতে আদৌ কোন পাথর ছিল না।
এ বিষয়ে সার্জারি ডাক্তার ঈসমাইল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রোগীর আত্নীয় স্বজনের পীড়া-পীড়ির কারণে তড়ি-ঘড়ি করে আমি অস্ত্রপচার করেছি ।
শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ১০৪ নং কেবিনে ঢুকতেই সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে ভুক্তভোগী হাজিরা হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, যে ডাক্তার আমার জীবন নিয়ে ব্যবসা করলো আমি সেই ডাক্তারের আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সুষ্ট বিচার চাই। আর যেন কোন বোন আমার মত এমন প্রতারণার শিকার না হয়।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে৷

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT