শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

কোনও ছাত্র সংগঠনই ছাত্রলীগ ছাড়া কমিটি ভাঙার কথা ভাবছে না

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৭৬

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পাঁচ দিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বুয়েটে কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবে না বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। তবে বুয়েট প্রশাসনের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে কমিটি না ভাঙার কথাই জানিয়েছে ছাত্রদলসহ অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো। কোনও কোনও ছাত্র সংগঠন প্রয়োজনে প্রশাসনকে ‘মোকাবিলা’ করে বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনাকালে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না’। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংগঠনভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এবার বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে প্রশাসন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কমিটি থাকলেও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর সক্রিয় কমিটি নেই। তবে এতদিন ধরে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল তারা।

এসব ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ‘যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংগঠনভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে, তাই আমাদের ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম চালাতে হবে৷ তবে আমাদের কমিটি ভাঙা হবে না।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত ছাত্রদল কখনও মেনে নেবে না৷ আমরা আপাতত কমিটি ভাঙার কথা ভাবছি না৷ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি৷ এদেশে ছাত্র রাজনীতির একটি ঐতিহ্য রয়েছে৷ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কেন তা বন্ধ হবে? আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পরে জানাবো।’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা এখনও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে না৷ আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালিয়ে যাবো।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা বুয়েট প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। ভবিষ্যতে সেখানে আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে প্রশাসনকে মোকাবিলা করবো।’

এদিকে, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেহেতু বুয়েট প্রশাসন সংগঠনভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে, তাই সেখানে ছাত্রলীগের কোনও রাজনৈতিক কার্যক্রম চলবে না। সেটির বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক সভা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’ তবে এই পরিস্থিতিতে যদি কোনও মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, তাহলে এরজন্য প্রশাসনকে জবাবদিহিতা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মৌলবাদী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও মৌলবাদী শক্তি সক্রিয় হলে, তখন আমরা প্রতিহত করবো।’

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। ওই দিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানায়, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া যায়। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার ঘটনায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT