শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

ক্রসফায়ারে হত্যা: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও ২ মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৫২
অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড হবে ওসি প্রদীপের

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার আবদুল আমিন ও হোয়াইক্যংয়ের মুফিজ আলম নামের দুইজনকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগে বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরও দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়ে আদালত ওই ঘটনা সংক্রান্ত কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী ধার্য দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) হেলাল উদ্দীনের আদালতে এই দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে।

নিহত বাহারছড়ার আবদুল আমিনের ভাই নুরুল আমিন ও মুফিজ আলমের ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে এই দুই মামলার আবেদন করেন। দুটি মামলার একটি ৩৮ জন ও অন্যটিতে ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু মুছা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাহারছড়ার আবদুল আমিনের মামলার বাদী আবেদনে উল্লেখ করেন, সুপারি ব্যবসায়ী আবদুল আমিন থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে টেকনাফ থানা পুলিশ। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় একদল পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়েও ৫ লাখ টাকা দাবি করে ওসিসহ পুলিশরা। শেষে বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা দেয় পরিবার। বাকি টাকার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে স্ত্রীর কাছ থেকে বাকি টাকা দাবি করে পুলিশ। এতে অস্বীকৃতি জানানো হলেই একদল পুলিশ আবদুল আমিনকে গুলি করে হত্যা করে।

মুফিজ আলমের মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, টেকনাফ থানা পুলিশ মুফিজ আলমের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এক পর্যায়ে টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়। তাই বাধ্য ২০১৯ সালের ১২ জুলাই পুলিশকে ৬ লাখ টাকা দেন। টাকা নেয়ার পরদিনই মুফিজ আলমকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়।

আইনজীবী আবু মুছা মোহাম্মদ বলেন, ফৌজদারি মামলার এজাহার দুটি আমলে নিয়েছেন আদালত এবং ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ধার্য দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT