পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে গুলিবিনিময়ে ইউপিডিএফের (প্রসিত) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার দুর্গম বড়াদম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বুজেন্দ্র লাল চাকমা (৪৫), নবীন জ্যোতি চাকমা (৩২) ও রশিল চাকমা (২৫)।
সেনাবাহিনীর আন্তঃসযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এক বার্তার মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইএসপিআরের ওই ‘স্ক্রল শিরোনামে’ বলা হয়, দিঘীনালায় ইউপিডিএফ (প্রসিত) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টহল দলের গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান জানান, দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম বড়াদম এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট আইএসপিআর জানিয়েছিল, আরেক পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক থানাধীন সীমানাছড়ার উজোবাজারে সকালের দিকে সেনা টহলগাড়িতে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা জবাব দেয়া হয়।
এতে সুমন চাকমা ওরফে কসাই সুমন নামে একজন নিহত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধিতা করে গঠিত আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য।
আর গত বছরের ৩ মে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামি।
সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা সদস্যদের একটি টহলগাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। আরেকটি গুলিতে গাড়ির বডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তারও আগে গত ১৮ আগস্ট রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের পোয়াইথুপাড়া এলাকায় সেনাটহলে সশস্ত্র হামলায় এক সেনা সদস্য নিহত ও দু’জন আহত হন।
Leave a Reply