জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে দণ্ড মওকুফ ও কারাগার থেকে মুক্তি দিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ আবেদনটি পাঠান। আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনের অনুলিপি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই আবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দিন আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ পালনের উদ্বোধনী দিনে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১, ৪৮ (৩) এবং ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে মানবিক কারণে এবং তার বয়স, প্রথম শ্রেণির নাগরিক ও অসুস্থ নারী হওয়ায় তাকে কারামুক্তির আবেদন জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনি আবেদন করলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী ড. আকন্দ বলেন, মানবিক কারণে জনস্বার্থে আমি এ আবেদনটি করেছি। বেগম খালেদ জিয়া একজন প্রথম শ্রেণির নাগরিক ও বয়স্ক নারী এজন্য।
রাষ্ট্রপতির কাছে বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আইনজীবীর আবেদনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই আইনজীবী নিজে পরিচিতি পাওয়ার জন্য এ আবেদনটি করেছেন।
আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ঢাকার একটি আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। এই দুটি মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট ৩৩টি মামলা বিচারাধীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন।
Leave a Reply