সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে ও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই তার জামিন দীর্ঘায়িত করছে বলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অভিযোগ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে দলের অবস্থান তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিন রাতে গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘‘আপনারা জানেন যে, শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখান থেকে বেরিয়ে তার বোন বলেছেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত অসুস্থ, আগের চেয়ে অনেক বেশি অসুস্থ। উনি শুকিয়ে গেছেন এবং তিনি এখন নিজে খেতেও পারছেন না, তাকে খাইয়ে দিতে হচ্ছে।’’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই ১৭ মাসে তার (খালেদা জিয়া) সবচেয়ে খারাপ সময় (শারীরিক দিক থেকে) যাচ্ছে। আমরা বারবার বলেছি যে, চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হোক, তিনি যেখানে ভালো চিকিৎসা করাতে চাইবেন, সেখানেই করাবেন। সরকার কোনও কথাই শুনছে না।’
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, ‘আমরা উচ্চ আদালতে গিয়েছিলাম, আদালত সেটাকে পূর্ণাঙ্গ কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমরা মনে করি যে, এগুলো তার যে জামিন, যেটা তার প্রাপ্য যেটাকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। জেনে শুনে সরকার এটা করছে। উদ্দেশ্যটা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দূরে রাখা এবং একইসঙ্গে ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই, আইনগতভাবে চাই, জামিনের মাধ্যমে চাই।’
মির্জা ফখরুল জানান, উচ্চ আদালতের অবকাশকালীন ছুটির পর খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ের আইনি প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হবে।
Leave a Reply