খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি আওয়ামী লীগের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড দলীয় কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিরোমণি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কিছু সময় পরই এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ওই দলীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, মাগরিবের নামাজের আগে শিরোমণি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন ও দলের নেতৃবৃন্দ অবস্থান করছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছু সময় পর কার্যালয়ের মধ্যে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কার্যালয়ের মধ্যে থাকা চেয়ার, টেবিল দুমড়ে-মুচড়ে ক্ষতি হয়। ঘটনাস্থলে বিয়ারিং এর টুকরা, স্প্রাইটের বোতল ও তারসহ কিছু আলামত দেখা গেছে।
দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে অবস্থান করা শিরোমণি উত্তরপাড়ার গাজী বিল্লাল হোসেনের ছেলে সুমন জানান, ‘প্যান্ট পরিহিত মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে একটি ব্যাগ রেখে চলে যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসা করি ব্যাগের মধ্যে কী আছে? তিনি কলা আছে বলে টয়লেট করার কথা বলে চলে যাওয়ার কিছু সময় পরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে’। সুমন জানায় ব্যাগের মধ্যে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু রেখে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বলেন, আমি দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে এই ঘটনার খবর শুনি।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. কবির হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ককটেল জাতীয় কিছু বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরিষ্কার করে জানাতে পারবে। পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে ককটেল জাতীয় একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং এ জাতীয় আরও একটি কার্যালয়ের মধ্যে রয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বোমা বিশেষজ্ঞ ইউনিট কার্যালয়টি ঘিরে রেখেছিল।
এ দিকে, এই ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এর পরপরই খবর পেয়ে কেএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত কমিশনার এস এস ফজলুর রহমান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
Leave a Reply