অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এই নির্দেশনাটি দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো লিখিত বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, তেল আবিবের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা পর সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলের এসব কর্মকর্তাদের তালিকায় রয়েছে দেশটির শিন বেট নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও জেনারেল স্টাফ প্রধানের নাম।
এ দিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় ইসলামিক জিহাদের ওপর তারা ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে।
অপর দিকে দ্য জেরুজালেম পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল। রকেট হামলা বন্ধ না করলে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতেও দ্বিধা করব না আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমি তাড়াহুড়ো করে যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছি না। তবে অন্য কোনো উপায় না থাকলে সেটি করতেই হবে। শেষ মুহূর্তে গিয়ে যুদ্ধে জড়াব আমরা। তবে তার আগে আমরা এমন কিছুর প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা হামাস ও ইসলামিক জিহাদের কল্পনাতেও নেই।
এর আগে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়া হয়। তবে ভয়াবহ সেই হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
যদিও লড়াইটি শুরু হয় মূলত রবিবার সকালের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সে দিন গাজা উপত্যকার সীমান্ত এলাকায় ইহুদি সেনারা বর্বর হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের এক যুবককে হত্যা ও দুজনকে গুরুতর আহত করেছিল। পরে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ বুলডোজারের নিচে পিষে ফেলা হয়। তখন বুলডোজারে করে লাশটি ঝুলিয়ে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
পরবর্তীকালে এমন ঘটনার ভয়াবহ এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তেল আবিব বলছে, গাজার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বোঝাই বেলুন ওড়ানোর চেষ্টা করছিল কয়েকজন সন্ত্রাসী। তখন ইসরায়েলি সেনারা গিয়ে হামলাটি সফলতার সঙ্গে প্রতিহত করে।
Leave a Reply