শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫০ বিলিয়ন ডলার: যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ব ব্যাংক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৬৫
গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫০ বিলিয়ন ডলার: যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ব ব্যাংক

প্রায় ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন হতে পারে ৫০ বিলিয়ন অথবা পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) যৌথভাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলে হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দ্য ইন্টেরিম র‍্যাপিড ড্যামেজ অ্যান্ড নিডস অ্যাসেসমেন্ট বা আইআরডিএনএ নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনে আগামী ১০ বছরে পাঁচ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি প্রয়োজন হতে পারে। প্রথম তিন বছরেই প্রায় ব্যয় হতে পারে দু হাজার কোটি ডলার।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ার গাজার সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। তাদের দাবি অনুযায়ী, হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়েছিলেন। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অভিযানে নামে তেল আবিব। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একে আবার বাসযোগ্য করার জন্য পুনর্গঠনের পাশাপাশি অবিস্ফোরিত বোমা অপসারণের কাজও করতে হবে।

গত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নাজুক একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুদিন পরই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। এতে বলা হয়েছে, বিশাল পরিসরে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনার কিছু পূর্বশর্ত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। যেমন উপত্যকার শাসন ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও দূরীভূত হয়নি। পুনর্গঠনের গতি ও ব্যাপ্তি এ বিষয়গুলোর ওপর যথেষ্ট নির্ভরশীল হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

আইআরডিএনএ বলেছে, প্রায় দু লাখ ৯২ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত এবং ৯৫ শতাংশের বেশি হাসপাতাল অকার্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর স্থানীয় অর্থনীতি প্রায় ৮৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য পুনর্গঠন ব্যয়ের প্রায় ৬০ শতাংশই প্রয়োজন হবে আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পুনর্গঠনে। আর বাকিটুকু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও শিল্পসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যয় করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT