শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

গাবুরায় কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই গ্রাম প্লাবিত

আসাদুজ্জামান
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৪২
গাবুরায় কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই গ্রাম প্লাবিত

সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় উপজেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় প্রায় এক’শ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারের চাপে গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া গ্রামের ৬ টি স্থানে রিংবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে একই স্থানে বেঁড়িবাধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে হাজার-হাজার এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সে সময় রিংবাধ দিয়ে কোন রকম বেঁড়িবাধটি টিকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরের প্রবল জোয়ারে তা আবারও ভেঙে গেছে।

তারা আরো জানান, এখনই যদি বেড়িবাধটি সংস্কার করা না হয় তাহলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।

গাবুরায় কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই গ্রাম প্লাবিত
স্থানীয় গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত লেবুবুনিয়ার এই বেড়িবাধটি সংস্কারের জন্য সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু তারা এখনও কাজ শুরু করেননি। তার মধ্যে আজ দুপুরের জোয়ারে রিংবাধটি ভেঙে আবার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

তিনি আরো জানান, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা সম্ভব না হলে গোটা গাবুরা ইউনিয়ন প্লাবিত হবে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, ইতিমধ্যে বেঁড়িবাধ ভাঙন কবলিত লেবুবুনিয়ায় বালুর বস্তা পাঠানো হয়েছে। এখন জোয়ার চলছে। ভাটা শুরু হলেই বাধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরো জানান, এখন বর্ষকাল চলছে। এ সময় নদীর পানি বেশী থাকার কারণে সেনাবাহিনী এখনও বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেননি। তারা শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই সেখানে টেকসই বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করবেন।

এদিকে, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরণ চক্রবর্তী জানান, তার উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া ও কোলা এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত রিংবাধ ভেঙে দুটি ইউনিয়নের ৪/৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।

তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহি প্রকৌশলী সুধায়শ কুমার সরকার জানান, তিনি বর্তানে ট্রলার যোগে তার বিভাগের অশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন। পরিদর্শন শেষ না হলে তিনি কিছুই বলতে পারবেননা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT