শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

গুমের শিকার ৩৩০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান: কমিশন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩১
গুমের শিকার ৩৩০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান: কমিশন

দেশে গুমের শিকার হয়ে ফিরে না আসা ৩৩০ ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

গুমের অভিযোগ ও তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে কমিশনের সভাপতি জানান, কমিশনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে আসা ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে, পাশাপাশি ৪৫ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এলাকা ও পুশইনের তথ্য

কমিশনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছে ভারত থেকে পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত গুমের শিকার কোনও ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশইন করা হয়। এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

 

কমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশিদের একটি তালিকা সে দেশের কাছে চাওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী গত দুই-আড়াই বছরে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১,০৬৭ জন বাংলাদেশির নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তবে এ তালিকায় গুমের শিকার কারও নাম আছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের অন্য সদ্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নুর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য মিজ নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন।

কমিশন জানিয়েছে, গুমের ঘটনায় প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT