বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবন দাবিকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে যাচ্ছে অ্যানিমেল ট্রায়াল (প্রাণীর ওপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ)। তারা আশা করছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ তারা হিউম্যান ট্রায়ালে (মানব শরীরের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ) যাবে।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার অ্যান্ড ইনচার্জ ড. আসিফ মাহমুদ এবং প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনসের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কারের গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অ্যানিমেল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে আছি। ডাটা কালেকশন চলছে। একটা ক্যান্ডিডেট আমাদের রেডি হয়ে গেছে। আমাদের এখন পর্যন্ত যা ডাটা এসেছে, তা খুবই আশাপ্রদ। তারপরও একদম শেষ না হলে তো আমরা চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছি না। অ্যানিমেল ট্রায়ালের ডাটা কমপ্লিট হলে আমরা হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করবো বিএমআরসির (বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল) কাছে।’
এ বিষয়ে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে আমরা অ্যানিমেল স্টাডির রিপোর্ট তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থাপন করতে পারবো। তারপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আমরা সিআরও’র মাধ্যমে বিএমআরসিতে আবেদন জমা দিতে পারবো।’
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আমাদের আন্তর্জাতিক মানের একটা অ্যানিমেল স্টাডি সেন্টার আছে। ৩৯টি ছোট ইঁদুরের (মাইস) ওপর আমরা অ্যানিমেল ট্রায়াল করছি। আমরা সিআরও’র সাথে প্রটোকল ডেভেলপমেন্টের কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা একটা প্রটোকল ডেভেলপও করছি। সেটা সিআরও প্রতিষ্ঠান সেটা রিভিউ করছে। এর মধ্যে প্রটোকলটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। অ্যানিমেল স্টাডির পূর্ণাঙ্গ ডাটাও চলে আসবে। তারপর আমরা বিএমআরসিতে জমা দেব।’
আসিফ মাহমুদ ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটা ধাপ। তিনটা ধাপের জন্য সাধারণভাবে তিন মাস সময় লাগবে। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু করতে পারলে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে পারবো।
Leave a Reply