সারাদেশের তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। বরং কোনও কোনও এলাকায় সামান্য বেড়েছে। বাতাসের গতি না থাকা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। এই কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অব্যাহত ঘনকুয়াশার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শীতকালে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে এই অঞ্চলে বিশেষ করে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের আকাশে মেঘ আসছে। এই মেঘ যখন বাংলাদেশে আসে, তখন আর্দ্রতা কমে গিয়ে কুয়াশায় রূপ নেয়। শীতকালে যেহেতু রাতের বেলা সারফেস ঠান্ডা হয়ে যায় তখন জ্বলীয় বাষ্প নিচে এসে কুয়াশায় রূপ নেয়। এই কুয়াশা অনেক সময় তিন-চারদিন পর্যন্ত থাকে। দিনের বেলা সূর্য ওঠার পর একটু কমে গেলেও বিকালের দিকে কুয়াশা ভাব আবার বেড়ে যায়। রাত যত বাড়বে কুয়াশা তত বাড়বে। সকালের দিকে এটি আরও বেশি বাড়বে। এই কুয়াশা আরও দুই-তিন দিন থাকবে কমবেশি।
তিনি বলেন, যেহেতু বাতাস নেই, কুয়াশা কাটতে সময় লাগছে। বাতাস থাকলে আরও আগে কেটে যেতো।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত অবস্থান করছে।
মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.২, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭, চট্টগ্রামে ১৭.৫, সিলেটে ১৫.৮, রাজশাহীতে ১৬.১, রংপুরে ১৬, খুলনায় ১৮.৪ এবং বরিশালে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
Leave a Reply